Modi On Operation Sindoor At Banaras : সিঁদুরের সাফল্য মহাদেবকে উৎসর্গ! বারাণসী থেকে মোদীর বার্তা

46

ডিজিটাল ডেস্ক, ২ অগাস্ট : পুণ্যভূমি বারাণসীতে দাঁড়িয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য মহাদেবকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার বারাণসীর এক জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথমবার কাশীতে এসেছি। হৃদয় আজ ভারাক্রান্ত। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। আমাদের মেয়েদের সিঁদুর কেড়ে নিয়েছিল ওরা। তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম—এই অন্যায়ের বদলা নেব। মহাদেবের আশীর্বাদে সেই প্রতিশোধ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পহেলগাঁওয়ের সেই রক্তক্ষয়ী ঘটনার উপযুক্ত জবাব দেওয়া গিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের এই সাফল্য আমি মহাদেবের চরণে উৎসর্গ করছি (Modi On Operation Sindoor At Banaras)।”

সংসদের বাদল অধিবেশনেও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ভাষণে তিনি পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এবং একসারিতে বসিয়ে বিরোধীদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বাদল অধিবেশনের সময়েই, ২৮ জুলাই কাশ্মীরের দাচিগাম জঙ্গলে ‘অপারেশন মহাদেব’ চালিয়ে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা। পরে লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, নিহত তিন জঙ্গির প্রত্যেকেই পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাঁদের মধ্যে সুলেমান ছিলেন ওই হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড।

শনিবার বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৫২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২,১৮৩.৪৫ কোটি টাকা। একই মঞ্চ থেকে ‘পিএম কিসান’ প্রকল্পের ২০তম কিস্তির অর্থ বিতরণও করেন তিনি। এই পর্যায়ে সারা দেশের ৯.৭ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২০,৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠক।

প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদমন অভিযান জোরদার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। গত সোমবার শ্রীনগরে চালানো ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত তিন পাকিস্তানি জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা। ২২ এপ্রিলের ওই নৃশংস হামলার পর থেকে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল জঙ্গিরা। তবে সম্প্রতি জঙ্গি মুসা তার কাছে থাকা টি৮২ আল্ট্রাসেট কমিউনিকেশন ডিভাইস চালু করতেই, সেই সিগন্যাল ধরে জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এর পরেই শুরু হয় অভিযান। মাত্র তিন ঘণ্টার অপারেশনে—সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে—মুসাসহ আরও দুই পাকিস্তানি জঙ্গিকে খতম করে সেনা।