ডিজিটাল ডেস্ক ২৩শে অগাস্টঃ জন্মাষ্টমীর কয়েক দিনের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশে নতুন বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের এক মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে কটাক্ষ ও সমালোচনার ঝড়। কংগ্রেসের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছে করে সনাতন ধর্মের প্রচলিত আখ্যানকে পাল্টাতে চাইছেন, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়(Mohan Yadav)।
জন্মাষ্টমীর এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যাদব বলেন, কৃষ্ণকে ‘মাখনচোর’ বলে অভিহিত করা অনুচিত। তাঁর দাবি, কৃষ্ণের মাখনপ্রেম ছিল প্রতীকী – এটি আসলে ছিল প্রতিবাদের ভাষা। অত্যাচারী কংসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ প্রকাশ করতেই কৃষ্ণ বন্ধু-সঙ্গীদের নিয়ে গোপাল সমাজে মাখন চুরি করতেন। যাদবের ভাষায়, “আমরা না বুঝেই কৃষ্ণের বিদ্রোহকে এমন নামে ডাকি, যা উচ্চারণ করতেও খারাপ শোনায়।”
তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের বিধানসভা দলনেতা উমঙ্গ সিংঘার অভিযোগ করেন, “মোহন যাদব ইচ্ছে করে ইতিহাস পাল্টাতে চাইছেন। হাজার হাজার বছর ধরে কৃষ্ণলীলা যেভাবে সমাজে প্রচলিত, আজ তিনি কি তা বদলে দিতে চান?” কংগ্রেস নেতাদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত লেগেছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে বলেন, কৃষ্ণের লীলাকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অন্যদিকে কিছু মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থনও জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, কৃষ্ণের চরিত্র কেবল ধর্মীয় ভক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামাজিক বিদ্রোহের প্রতীকও বটে।
এই ঘটনায় জন্মাষ্টমীর উৎসবের আবহ কাটতে না কাটতেই এই মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন রং চড়িয়েছে। শাসক বিজেপি যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে বিরোধীরা এই বিষয়কে হাতিয়ার করে আক্রমণের সুর আরও তীব্র করতে চাইছে।