ডিজিটাল ডেস্ক ১জুনঃ ফের বোমাবাজিতে কেঁপে উঠল মুর্শিদাবাদ। মঙ্গলবার সকালে আলিনগর গ্রামে প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। নওদা থানার অন্তর্গত এই গ্রামে রফিকুল নামের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,সকালে গ্রামের রাস্তায় ছিলেন রফিকুল। ঠিক সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপর পরপর বোমা ছোড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে রফিকুলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন(Murshidabad Blast)।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চরম উত্তেজনা। এলাকায় মোতায়েন করা পুলিশ বাহিনী। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। প্রাথমিক অনুমান, খুনের নেপথ্যে জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিবাদ থাকতে পারে। এই ঘটনাই প্রথম নয়। গত কয়েক মাস ধরেই মুর্শিদাবাদ জেলায় একাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ডোমকলের ঘটনা।
গত ১১ জুন ডোমকলে গভীর রাতে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক যুবকের। মৃতের নাম চান্দু শেখ ওরফে সফিকুল, বয়স প্রায় ৩০ বছর। ডোমকল পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত লেবুগাড়া এলাকায় বাড়ির পাশের মাঠেই গোপনে বোমা তৈরি করছিলেন চান্দু। সেই সময় আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বোমা তৈরির বেশ কিছু উপকরণ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ওই যুবক।
তারও আগে,৩০ এপ্রিল বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল সামশেরগঞ্জের দেবীদাসপুরে। সেই ঘটনায় আহত হয় দুই শিশুও। জানা যায়,দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরে বোমাবাজি চলছিল। ঠিক সেই সময় কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয় দুই নার্সারির পড়ুয়া। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখন তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকাজুড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ আগেও উঠেছে। বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের অন্দরমহলেও। প্রশ্ন উঠছে, একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পরও দুষ্কৃতীদের রোখা যাচ্ছে না কেন?