Nabanna: নবান্ন অভিযান হোক ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ’ ,অন্তর্বর্তিকালীন নিষেধাজ্ঞায় না আদালতের

69

ডিজিটাল ডেস্ক ৮ই অগাস্টঃ আর্জিকর কাণ্ডের একবছর পূর্তির দোরগোড়ায় গোটা বঙ্গ। সেই আবহেই ৯ই অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আরজি কর-কাণ্ডে নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মা। যার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সকলের মৌলিক অধিকার,তবে বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চের এও বক্তব্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আদালতের পরামর্শ, কোনও সরকারি সম্পত্তি বা পুলিশ আধিকারিকদের কোনও ক্ষতি সাধন না করে কর্মসূচি করাই শ্রেয়। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলে ‘‘এমন ধরনের প্রতিবাদের উপর কোনও সাধারণ নিষেধাজ্ঞামূলক নির্দেশ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখানে নেই(Nabanna)।’’ পাশাপাশি নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে জানানো হয়, ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলাকারীরা যে অন্তর্বর্তিকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিলেন, আদালত তা মঞ্জুর করছে না।

আগেই এই নবান্ন অভিযান ঘিরে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা করেন হাওড়ার এক বাসিন্দা। ব্যবসায়ীরাও এনিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা অবশ্য বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে বিচারাধীন। মামলাকারীদের বক্তব্য, নবান্ন অভিযান হলে, যাঁরা রাস্তা বের হন তাঁদের সবক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয়। স্কুল ফেরত বাচ্চাদের অসুবিধা হয়, অফিসযাত্রীদেরও প্রচণ্ড ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এপ্রসঙ্গে অপ্রীতিকর এবং হিংসার ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এদিন । উদাহরণ হিসাবে গত বারের নবান্ন অভিযানের কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়,‘‘গত বার ৪৭ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। এক জন পুলিশের চোখ নষ্ট হয়ে যায়। ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১৪০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়। আমরা হিংসার পুনরাবৃত্তি চাই না।

পুলিশ শনিবারের প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে বিকল্প তিন জায়গার কথাও আদালতে জানায়। সেই তিন জায়গা হল মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ড, হাওড়া ময়দান এবং বঙ্কিম সেতুর নীচে। সেখানে সর্বাধিক কত মানুষের জমায়েত করা যাবে সেটাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে পুলিশের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ডে ২০০ জন, হাওড়া ময়দানে ৫০০ জন এবং বঙ্কিম সেতুর নীচে ৫০০ জনের জমায়েত করা যাবে।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ তারিখ আর জি কর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের একবছর। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ৮ তারিখ শুক্রবার রাত থেকে শহরজুড়ে রাত দখল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হয়নি বলে ফের সরব হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।