Nabanna Abhijan: বাদ পড়ল না নির্যাতিতার মা, পুলিশি মারে ভেঙে গেল শাঁখা

63

ডিজিটাল ডেস্ক ৯ই অগাস্টঃ আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। পুলিশের মারে আহত হলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সংবাদমাধ্যমে তাঁরা নিজেরাই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। পুলিশের মারে শাঁখা ভেঙে গিয়েছে নির্যাতিতার মায়ের। পার্ক স্ট্রিটে আন্দোলনকারীদের উপর লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। প্রতিবাদে অবস্থানে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। হাওড়ার সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দানেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিস্তর টানাপোড়েন ও বচসার পর শেষ পর্যন্ত রুট বদল করে জওহরলাল নেহরু রোড ধরে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পার্কস্ট্রিটে পৌঁছাতেই মিছিল থামাতে লাঠিচার্জ করে কলকাতা পুলিশ । পুলিশের এই পদক্ষেপে প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল(Nabanna Abhijan)।

শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন এবং প্রতিবাদে অংশ নেবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেখান থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল নবান্ন অভিযানের মিছিল। শনিবার বেলা প্রায় পৌনে ১২টা নাগাদ বিধানসভা থেকে সরাসরি ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছে যান শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অর্জুন সিং এবং আরও কয়েকজন নেতা। তবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে পৌঁছনোর পরেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু ও তাঁর সঙ্গীরা। পুলিশ তাঁদের সেখানে আটকে দেয়।

নবান্ন বা কালীঘাট অভিযানের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এই দুই কর্মসূচি কোনওভাবেই করা যাবে না, শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ। নিয়ম অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির বিকল্প স্থানের প্রস্তাবও দিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্য পুলিশ দুইটি জায়গা নির্দিষ্ট ঠিক করে দিয়েছে। প্রথমটি হল সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড। অপরটি হল রানি রাসমণি চত্বর। আইন মেনে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদের করা যাবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ অগাস্ট গভীর রাতে আরজি করে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটে। ৯ অগাস্ট এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। যে ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় গোটা দেশ। গত বছরের ১৪ অগাস্ট প্রাক-স্বাধীনতার রাতে প্রথম বার ‘রাত দখলের’ ডাক দিয়েছিলেন রিমঝিম সিনহা। তাঁর ডাকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গণজাগরণের ছবি ধরা পড়েছিল। গত ৪ সেপ্টেম্বরও রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এবার আরজি করকাণ্ডের ১ বছর পূর্তিতে ফের প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়। আরজি করের ঘটনায় নজিরবিহীন প্রতিবাদের সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। শুধু রাজ্য নয়, দেশ এবং বিদেশেও প্রতিবাদের ছবি দেখা গিয়েছিল।