ডিজিটাল ডেস্ক, ৯ অগাস্ট : নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজ্যে চরম অশান্তি ছড়িয়েছে। পার্ক স্ট্রিটে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা-নেত্রী। একইসঙ্গে, হাওড়ার সাঁতরাগাচিতে মিছিল ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ পুলিশের দিকে ইট ও জলের বোতল ছুড়ে মারায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় (Nabanna Abhijan Satragachi Chaos)।
সাঁতরাগাছিতেও পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতা আরও ঘোলাটে হয় যখন বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ পুলিশকে লক্ষ্য করে জলের বোতল, চুড়ি ছোড়ে এবং জুতো দেখিয়ে প্রতিবাদ জানায়। উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ ও শর্তসাপেক্ষ মিছিলে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এবং রাজ্য পুলিশও সেই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছিল। যেহেতু নবান্ন চত্বরে জমায়েত করা নিষেধ, তাই বিকল্প জায়গা হিসেবে সাঁতরাগাচিকে নির্ধারিত করা হয়েছিল।তবুও আন্দোলনের নামে সৃষ্ট এই উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলায় স্বাভাবিকভাবেই চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ যাতায়াতকারীরা।
অন্যদিকে, এদিন বিধানসভা চত্বরের বাইরে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর শঙ্কর ঘোষ সহ ১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে মিছিল শুরু করেন তিনি। তবে পার্ক স্ট্রিটের কাছে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দুর নেতৃত্বে থাকা মিছিলকারীরা। বাধা পেয়ে রুট পরিবর্তন করে পার্ক স্ট্রিট মোড়ে গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন শুভেন্দু।
এই অবস্থান চলাকালীনই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীর অভিযোগ, নির্যাতিতা অভয়ার বাবা-মাও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি অভয়ার মায়ের হাতে থাকা শাঁখাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন, যাঁর বুকে ইটের আঘাত লেগেছে।