ডিজিটাল ডেস্ক ২৮শে জুলাইঃ সোমবারের ‘নবান্ন অভিযান’ ঠেকাতে হাওড়া জুড়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল সিটি পুলিশ। সংগঠকদের আবেদন খারিজ করে পুলিশ জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া কোনও জমায়েত কিংবা মিছিল করতে দেওয়া হবে না। হাইকোর্টের নির্দেশে সকাল থেকেই হাওড়ার মঙ্গলা হাট সচল রয়েছে। অন্যদিকে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা।নবান্ন সংলগ্ন সমস্ত রাস্তায় পুলিশি বন্দোবস্ত মোতায়েন পাশাপাশি ব্যারিকেড প্রস্তুত রাখা রয়েছে(Nabanna Avijan)।
শহরের মূল রাস্তাগুলিতে রবিবার রাত থেকেই ব্যারিকেড বসানো শুরু করে দিয়েছিল পুলিশ। জলকামান, রোবোকপ, কুকুর স্কোয়াড ও ড্রোন দিয়ে চালানো হবে নজরদারি। প্রায় 1500 পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে, সঙ্গে থাকবে র্যাফ ও কুইক রেসপন্স টিম। নবান্নমুখী সম্ভাব্য রুট হাওড়া স্টেশন, রেলওয়ে মিউজিয়াম, ফোরশোর রোড, কাজীপাড়া মোড় সব জায়গাতেই থাকছে কড়া প্রহরা।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে দাবি, তাঁদের কর্মসূচি স্থগিত নয়। বহু কর্মী রবিবার রাতেই শহরে এসে পৌঁছে গিয়েছেন। সংগঠকদের অভিযোগ, প্রতিবছর এই কর্মসূচির জন্য সাধারণ মানুষকে দায়ী করা হচ্ছে, অথচ চাকরিপ্রার্থীদের যন্ত্রণা চোখে পড়ছে না প্রশাসনের।
এদিকে, বারবার শহরে আন্দোলনের জেরে মঙ্গলাহাটের ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে ক্ষোভ ব্যবসায়ীদের। ট্র্যাফিক বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কায় বহু মানুষ বিকল্প রুট খুঁজছেন ৷ দীর্ঘ যানজটের আশঙ্কায় অফিসযাত্রী থেকে রোগী সকলেই উদ্বিগ্ন। হাওড়া শহরের বহু নাগরিক ইতিমধ্যেই সোমবারের জন্য রুট পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছেন। অফিসযাত্রী, রোগী, পরীক্ষার্থী সকলেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন, কারণ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কার্যত অচল হতে পারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আগে থেকেই জানি, শহর অবরুদ্ধ থাকবে। ফলে, দোকান না খোলাই ভালো।’
তবে পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনেই মঙ্গলাহাট ও শহরজুড়ে স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইন ভাঙা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
এর আগে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ই বিষয়ক মামলার শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, অনুমতি ছাড়া 28 জুলাই নবান্ন অভিযান করলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে ৷ নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, লাগাতার প্রতিবাদ, মিটিং ও মিছিলের জন্য তাঁদের ব্যবসা মার খেতে পারে বলে উদ্বেগে রয়েছেন তিনি ৷
অন্য দিকে, পুলিশি নিষেধাজ্ঞা ও কড়া অবস্থান সত্ত্বেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সূত্রে খবর, কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁরা প্রস্তুত থাকছেন। কর্মীরা ইতিমধ্যেই কলকাতা ও হাওড়া সংলগ্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন। অনেকেই রবিবার রাতেই শহরে ঢুকে যাবেন বলে সূত্রের খবর।