Nadia Child Death : চিকিৎসার ‘গাফিলতি’তে শিশুমৃত্যু? কল্যাণী JNM হাসপাতালে তুমুল উত্তেজনা!

5

ডিজিটাল ডেস্ক, ৫ জুলাই : নদিয়ার কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এক শিশুর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কল্যাণী থানার পুলিশ। মৃত শিশুর পরিবার চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে (Nadia Child Death)।

কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে মঙ্গলবার মাথাব্যথা ও বমির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করা হয় এক শিশুকে। শুরু হয় প্রাথমিক চিকিৎসা। চিকিৎসকেরা সিটি স্ক্যানের পরামর্শ দেন, এবং বুধবার সেই স্ক্যান করানোও হয়। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা জানান, শিশুর মাথায় জল জমেছে এবং এমআরআই করানো প্রয়োজন। তবে অভিযোগ, এক সিনিয়র চিকিৎসক জানান শিশুর অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে, তাই সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরই এমআরআই করানো হবে। পরিবার সেই অনুযায়ী সিটি স্ক্যান বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে, যেখানেও বলা হয় বর্তমান অবস্থায় স্ক্যান করানো ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ শিশুকে স্ক্যানের সময় অজ্ঞান করাতে হবে। তবে অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার রাতে জুনিয়র চিকিৎসক ও নার্সরা পরিবারের ওপর সিটি স্ক্যান করানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। আরও অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় এবং এমনকি হুমকিও দেওয়া হয় যে স্ক্যান না করালে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়তে হবে।

নদিয়ার কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাগত গাফিলতির অভিযোগে আরও চাঞ্চল্য। শিশুটির পরিবারের দাবি, শুক্রবার গভীর রাতে চিকিৎসকদের চাপের মুখে পড়ে তাঁরা সিটি স্ক্যান করাতে রাজি হন। অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে জোর করে লিখিত সম্মতিও আদায় করা হয়। এরপর শিশুটিকে সিটি স্ক্যান বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সেখানে যাওয়ার জন্য কোনো স্ট্রেচার সরবরাহ করা হয়নি। পরিবারের বক্তব্য, বিভাগে পৌঁছতেই জুনিয়র চিকিৎসক শিশুকে ঘুম পাড়ানোর ওষুধ দিয়ে একটি ভ্যাকসিন দেন। তারপর থেকেই আর জ্ঞান ফেরেনি শিশুটির। সিটি স্ক্যান শেষে তাকে ফের শিশু বিভাগের বেডে রাখা হয়। দেওয়া হয় অক্সিজেন ও স্যালাইন, কিন্তু পরিবারের মতে স্যালাইন কার্যকর হচ্ছিল না। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও জ্ঞান ফেরেনি শিশুটির। শনিবার সকালে চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটি মারা গেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কল্যাণী থানার পুলিশ। পরিবার কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে।