ডিজিটাল ডেস্ক, ৫ অগাস্ট : মঙ্গলবার সংসদে এনডিএ-র সংসদীয় বৈঠকে সেনাবাহিনীর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। একইসঙ্গে, অপারেশন সিঁদুরের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সংবর্ধনা জানান এনডিএ নেতৃত্ব (NDA Meeting Modi Felicitation)। বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে বিরোধীদের আচরণ নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে ৬-৭ মে সেনাবাহিনী চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। হামলায় প্রাণ হারায় শতাধিক জঙ্গি। মোদি সরকার এই অভিযানে ভারতীয় সেনার সাফল্যকে তাদের অন্যতম বড় কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সাফল্য হিসেবে তুলে ধরতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেনি।
সংসদে যেমন এই সাফল্য নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে, তেমনি বিজেপি নেতাদের ভাষণেও বারবার উঠে এসেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার এনডিএ-র সংসদীয় বৈঠকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত হলে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজে তাঁর গলায় মালা পরিয়ে দেন এবং সেনা অভিযানের সাফল্যে তাঁকে অভিনন্দন জানান। উপস্থিত অন্যান্য নেতৃত্বও করতালি ও ‘হর হর মহাদেব’ স্লোগানে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রীকে। এই বৈঠকেই গৃহীত হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব— ‘ভারত কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। ভবিষ্যতেও যদি পারমাণবিক হুমকির আড়ালে জঙ্গিঘাঁটি গড়ে তোলা হয়, তবে ভারত প্রয়োজন অনুযায়ী অতীতের মতোই সুনির্দিষ্ট ও চূড়ান্ত জবাব দেবে।’
এদিকে, দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে সম্প্রতি ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। তাঁর শূন্যস্থান পূরণের জন্য শীঘ্রই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এদিনের বৈঠকে এই বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এনডিএ শিবিরের পক্ষ থেকে কারা এই পদে প্রার্থী করা হবে এবং নির্বাচনে দলীয় শক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এনডিএ সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল এবং রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অর্জনে।
নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বাদল অধিবেশনে বিরোধী শিবিরের হই-হট্টগোলের কারণে একটিও বিল পাশ করানো সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর ইস্যুতে বিরোধীরা অযথা সংসদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “এমন বিরোধী দল আর কোথায় আছে, যারা নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারছে।”