ডিজিটাল ডেস্ক ২৩শে জুলাই : সম্প্রতি নিউটাউনে ভয়াবহ খুন। ফের এক খুনের ঘটনা খাস কলকাতায়। জানা গিয়েছে, নিউটাউন এলাকার সাহা মার্কেটের এক গেস্ট হাউসে খুন হয়েছেন এক মহিলা (Newtown Wife Murder)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন নিউটাউন ও ইকোপার্ক থানার পুলিশ এবং সঙ্গে রয়েছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ১০০ ডায়াল করে পুলিশের কাছে খবর যায়। নিউটাউন সাহা মার্কেট এলাকায় একটি গেস্ট হাউসে স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ইকোপার্ক থানা ও নিউটাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌছায়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামী এলাকাছাড়া হওয়ার আগেই তার মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তাঁকে নিউটাউন এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে পরকীয়া সন্দেহে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ওই গেস্ট হাউসে ঝামেলা হয়েছিল। বচসা থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হলে এরপরেই সে শ্বাসরোধ করে খুন করে তার স্ত্রীকে। জানা গিয়েছে, রবিরার এই গেস্ট হাউসে এসে উঠেছিল ওই দম্পতি। তাদের ইচ্ছা ছিল ইকোপার্কে ঘুরতে যাওয়ার। নিউটাউন থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে খাস কলকাতায় নিউটাউন থানায় ডিউটিরত এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টরের উপর হামলা এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল নিউটাউন থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক ছিল ওই মহিলার। সেই কারণেই রাগের বশে গৃহবধূকে খুন করেন৷ স্বীকারোক্তি স্বামী বিশ্বজিৎ মন্ডলের। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত বিশ্বজিৎ মন্ডল জানিয়েছে, অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি স্ত্রী ইতিকার মোবাইলে দেখতে পায় সে। এরপর একাধিকবার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে। অস্বীকার করায় তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার দুপুরে নিউটাউন গেস্ট হাউসে ওঠার পর পুনরায় এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিশ্বজিৎ ও ইতিকার মধ্যে কথা ওঠে। স্ত্রী জানায় তার প্রচুর টাকার প্রয়োজন। মাসে মাসে তাকে ১০ হাজার করে টাকা দিতে হবে। নাহলে তার যা ইচ্ছে তাই করবে। জানা গিয়েছে এরপরই অভিযুক্ত বেল্ট গলায় জড়িয়ে স্ত্রীকে বারবার একই কথা বলতে থাকে। সে বলে শুধরে যা নাহলে মেরে দেবো। উত্তরে পালটা স্ত্রী বলে তোমার যা ইচ্ছা তাই করো। এরপরই স্ত্রী ইতিকাকে বেল্ট দিয়ে ফাঁস দিয়ে খুন করে বিশ্বজিৎ। ঘটনার দিন ১০০ নম্বরে ডায়াল করে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ নিজেই জানায় । বিশ্বজিৎ নিজের মোবাইল ফোনে একটি ভিডিও করে। সেখানে সমস্তটা জানায় কেন স্ত্রী ইতিকাকে খুন করেছে সে।
নিউটাউন থানার পুলিশ খবর পেয়ে নিউটাউন গৌরাঙ্গ নগর সাহা মার্কেটের এই গেস্ট হাউসে যায়। গেস্ট হাউসের তিনতলার ঘর থেকে ইতিকার মতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎকে। সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হোসেনপুর। ধৃতকে আজ বারাসাত আদালতে তোলা হবে। বর্তমানে পুলি হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত।