Operation Sindoor Arms : কোন কোন অস্ত্রের ব্যবহারে গুঁড়িয়ে গেল পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি?

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ৭ মে: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলাগুলি পাকিস্তানে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিচালিত হয়, যাতে ২৬ জন নিহত হন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW) এই নয়টি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনাকে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

এই হামলাগুলি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত হয়েছে, যেখানে লস্কর, জইশ ও হিজবুলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ অবস্থিত। ভারত সরকারের দাবি, এই হামলাগুলি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান এই হামলাগুলিকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে জল, স্থল ও অন্তরীক্ষ—তিনটি ক্ষেত্রেই সমন্বিতভাবে সুনির্দিষ্ট ও পরিমিত হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলাগুলি শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটি ও জঙ্গিদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে; সাধারণ নাগরিকদের কোনও ক্ষতি হয়নি। মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ ও আঘাত হানার ক্ষেত্রে ভারত উল্লেখযোগ্য সংযম দেখিয়েছে।”

ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা সম্মিলিতভাবে এই অপারেশন পরিচালনা করেছে, যেখানে রাফাল যুদ্ধবিমান SCALP মিসাইল ও AASM হ্যামার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে (Operation Sindoor Arms)। এই হামলাগুলি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে লশকর-ই-তৈয়্যবা (LeT), জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) ও হিজবুল মুজাহিদিন (HM) এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ঘাঁটি অবস্থিত।

পাকিস্তান এই হামলাগুলিকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। ভারত সরকারের দাবি, এই হামলাগুলি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে প্রত্যাঘাত করেছে, যেগুলি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর প্রধান ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহমদের প্রধান কেন্দ্র এবং মুরিদকে লস্কর-এ-তৈবার শক্ত ঘাঁটি ছিল। ভারত এই হামলায় উন্নত প্রযুক্তির মিসাইল ব্যবহার করে। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করে এবং সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করে।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এই ‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা ও পর্যালোচনার পর পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। রাজনাথ সিংহের মতে, এই অভিযান সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

Comments are closed.