Operation Sindoor New Update : অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নতুন তথ্য বায়ুসেনা প্রধানের

84

ডিজিটাল ডেস্ক, ৯ অগাস্ট : ‘অপারেশন সিঁদুরে’ চলাকালীন ভারতের আকাশসীমা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল S-400 সুদর্শন চক্র এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে সেই সময় পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করেন (Operation Sindoor New Update)।

এইদিন বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং-কে বলতে শোনা যায়, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স চমৎকারভাবে কাজ করেছে। বিশেষ করে S-400 সিস্টেম, যা সম্প্রতি মোতায়েন করা হয়েছিল, তা পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই সিস্টেমের শক্তিশালী উপস্থিতিই শত্রুপক্ষের বিমানগুলোকে দূরে রাখতে বাধ্য করে। এমনকি, পাকিস্তানের কাছে থাকা দূরপাল্লার গ্লাইড বোমার মতো অস্ত্রও তারা ব্যবহার করতে পারেনি, কারণ তারা এই সিস্টেম ভেদ করতেই পারেনি।” তিনি আরও দাবি করেন, পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি একটি বড় পাকিস্তানি বিমানও এই অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগেই সেনা সূত্রে জানানো হয়েছিল, পাকিস্তানের হামলা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতের UAS গ্রিড ও শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। দেশের আকাশসীমা সুরক্ষায় প্রধান অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে S-400 সুদর্শন চক্র। পাকিস্তান যেসব ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে হামলার চেষ্টা করেছিল, সেগুলিকে কার্যত আকাশেই ধ্বংস করেছে এই সিস্টেম। অমৃতসর-সহ একাধিক জায়গায় সেই ধ্বংস হওয়া পাক ড্রোন ও মিসাইলের অংশ উদ্ধার করা হয়। নয়াদিল্লির তরফে পাকিস্তানের এই বিনা উসকানির হামলাকে কার্যত ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই হামলার পরপরই ভারতীয় সেনা সুনির্দিষ্ট ও পরিমিত প্রত্যাঘাত করে। এই পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার ফের বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং জানান, কীভাবে S-400 সুদর্শন চক্র পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলিকে আকাশে গুঁড়িয়ে দেয় এবং শত্রুপক্ষের হামলাকে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেয়।

এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম হল রাশিয়ার তৈরি একটি অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, যা শত্রুপক্ষের ড্রোন, মিসাইল বা যুদ্ধবিমানকে আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম। ভারতে এই সিস্টেমের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’। বিশ্বের প্রথম সারির এয়ার ডিফেন্স প্রযুক্তিগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।

এই সিস্টেম অন্তত ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমানের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারে এবং ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকেই সেগুলিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।

বর্তমানে দেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরের আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখতে পাঠানকোটে রয়েছে একটি ইউনিট। এছাড়াও রাজস্থান ও গুজরাটেও মোতায়েন করা হয়েছে সুদর্শন চক্র, যা দেশের পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে।

মূলত, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তৈরি করে আমেরিকা, এবং সেই দেশ থেকেই পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করে। ১৯৯৪ সালে, বিল ক্লিন্টনের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে এই যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পর, পাকিস্তানের এফ-১৬ ব্যবহার নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান যে মন্তব্য করেছেন, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। এমন সময় এই মন্তব্য সামনে আসায় তা কূটনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করছে।