ডিজিটাল ডেস্ক, ১০ অগাস্ট : অপারেশন সিঁদুর ছিল না আর পাঁচটা সাধারণ অভিযানের মতো। শত্রুর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে আমাদের মনে অনেক অনিশ্চয়তা ছিল। তাই পুরো বিষয়টিই ছিল দাবা খেলার মতো একটি কৌশলী লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে আমরা পাকিস্তানকে সম্পূর্ণভাবে কাবু করে ফেলেছি। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দৃঢ় বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী (Operation Sindoor New Update)।
তামিলনাড়ুর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “অপারেশন সিঁদুর ছিল এক ধরনের দাবা খেলা। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না শত্রু পরবর্তী কী চাল দেবে। একে বলা হয় ‘গ্রে জোন’, যার মানে আমরা কোনও নির্দিষ্ট বা চেনা ছকের অভিযানে ছিলাম না। আমরা আমাদের চাল তৈরি করছিলাম, একইসঙ্গে শত্রুপক্ষও তাদের কৌশল সাজাচ্ছিল।” তিনি আরও বলেন, “বহু ক্ষেত্রেই আমরা তাদের কিস্তিমাত করেছি। তবে ঝুঁকিও ছিল প্রচুর। কিন্তু জীবন তো এমনই—চ্যালেঞ্জে ভরপুর।”
এই হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তান ভারতের সীমান্তবর্তী জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। কিন্তু ভারত কেবল সেই হামলাগুলি প্রতিহত করেই থেমে থাকেনি—জোরালো প্রত্যাঘাতও করেছে। সেই পাল্টা আঘাতে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি বায়ু সেনাঘাঁটি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয় ১০০-রও বেশি জঙ্গি এবং ৩৫ থেকে ৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত, এই উত্তেজনার মাঝে ইসলামাবাদ সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানালে নয়াদিল্লি তা গ্রহণ করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফ-এর চার জঙ্গি একসঙ্গে ২৬ নিরস্ত্র মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাদের সাহায্য করেছিল কাশ্মীরের এক স্থানীয় জঙ্গি, যে হামলাকারীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এই জঘন্য ঘটনার পাল্টা জবাব দিতে ৭ মে ভোররাতে ভারত একটি বড়সড় সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।