ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুন : অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীরা যতই সরব হোক, মোদি সরকার সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকতে আগ্রহী নয়। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী আগামী জুলাই মাসে বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হবে, এবং তার আগে কোনও বিশেষ অধিবেশন আয়োজনের পরিকল্পনা নেই (Operation Sindoor Special Session)।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর প্রতিশোধ নিতে ৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের ঘাঁটিতে অভিযান চালায়, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। অপারেশন সিঁদুরের পর, এই ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে সংসদে বিশেষ অধিবেশন চাইছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি, যদিও মোদি সরকার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এরই মধ্যে বিদেশ সফরে রয়েছেন দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান।
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান দাবি করে যে তারা ভারতের রাফালে-সহ ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এই প্রসঙ্গে সেনা সর্বাধিনায়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। তিনি স্বীকার করেন যে পাক হামলায় ভারত যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, তবে তিনি এটাও জানান যে ভারত দ্রুত তার কৌশলগত ভুল বুঝতে পেরে সংশোধন করেছে এবং দুই দিন পর পুনরায় সেই কৌশল প্রয়োগ করে সফলভাবে দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। সেনা প্রধানের এই মন্তব্যের পর বিতর্কের আঁচ আরও বাড়ে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি তুলেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে মোদি সরকার দেশকে বিভ্রান্ত করছে, যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে।
বিরোধী শিবির জোরাল দাবি তুললেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনই বিশেষ অধিবেশন ডাকতে আগ্রহী নয়। সরকারের মতামত অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিশেষ অধিবেশন ডাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। জুলাই মাসে শুরু হতে চলা বর্ষাকালীন অধিবেশনে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ফলে বিরোধীরা যতই সরব হোক না কেন, মোদি সরকার এই প্রসঙ্গে তাদের দাবিকে গুরুত্ব দিতে প্রস্তুত নয়।