Pakistani Spy in West Bengal : বাংলা জুড়ে ঘুরেছেন লাস্যময়ী ইউটিউবার জ্যোতি? কোথায় কোথায় গেছিলেন সন্দেহভাজন পাক গুপ্তচর?
ডিজিটাল ডেস্ক, ১৯ মে : পাক গুপ্তচর বলে সন্দেহ করা লাস্যময়ী ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার (YouTuber Jyoti Malhotra) সঙ্গে বাংলার যোগ নতুন করে রহস্য উসকে দিয়েছে। চলতি বছরেই তিনি কলকাতায় আসেন, একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ থেকে বিরিয়ানি উপভোগ করেন (Pakistani Spy in West Bengal)। শহর ঘোরার পাশাপাশি তিনি ভ্লগও তৈরি করেন। তবে প্রশ্ন উঠছে—তিনি শুধুই পর্যটন উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, নাকি তথ্য পাচারের মতো অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল? স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
জ্যোতি মালহোত্রার ভ্লগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি শেওড়াফুলির একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন। রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লি থেকে শিয়ালদহ পৌঁছন এবং স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর ভ্লগে কলকাতার হলুদ ট্যাক্সির দৃশ্য তুলে ধরেন। তিনি শহরের রাস্তায় ঘোরার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। এছাড়া, বারাকপুরের একটি জনপ্রিয় দোকান থেকে বিরিয়ানি কেনেন এবং লোকাল ট্রেনেও যাত্রা করেন, যা তিনি নিজেই ভ্লগে উল্লেখ করেছেন। তাঁর ভিডিওতে হাওড়া ও দমদম স্টেশন, হাওড়া ব্রিজ, বালি ব্রিজ, দামোদর ব্রিজের ছবি দেখা যায়। তিনি বরানগর মেট্রো ধরে দক্ষিণেশ্বর মন্দির দর্শন করেন এবং নদিয়ার গেদে সীমান্তের দৃশ্যও তাঁর ভ্লগে দেখা গেছে। ভুটান যাওয়ার পথে সেবক রোড হয়ে করোনেশন ব্রিজে পৌঁছন। জানা গেছে, তিনি একবার নয়, কমপক্ষে চারবার কলকাতায় এসেছেন, এবং তারপরই পাকিস্তানে পাড়ি দেন।
দিন যত এগোচ্ছে, লাস্যময়ী ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার বিষয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। তাঁর বাংলায় আসার উদ্দেশ্য নিয়ে রহস্যের জট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। তিনি শুধুমাত্র পর্যটন উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ ছিল? মহানগরের বুকেই কি তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করছিলেন? তদন্তকারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে, শেওড়াফুলিতে কার আমন্ত্রণে জ্যোতি এসেছিলেন এবং সেই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের প্রকৃতি কী—তা এখনও তদন্তাধীন। তাঁর ভ্লগে উল্লেখ রয়েছে যে, তিনি একাই কলকাতায় এসেছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ বাংলায় এসেছিলেন কিনা, তা নিয়েও তদন্তকারীদের ভাবনা রয়েছে। পুরো বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments are closed.