Patna Gangster Murder Arrest : পটনায় গ্যাংস্টার খুনে কলকাতার আনন্দপুর থেকে আরও পাঁচ জন আটক! সব মিলিয়ে পুলিশের জালে ১১
ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ জুলাই : বিহারের পটনায় হাসপাতালের আইসিইউ-তে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় কলকাতা থেকে আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Patna Gangster Murder Arrest)। শনিবার রাতে আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এর ফলে পটনা-কাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ জনে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সেই গেস্ট হাউসটি আনন্দপুর থানার খুব কাছেই অবস্থিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সিসিটিভি ফুটেজে একটি গাড়িকে কলকাতার দিকে আসতে দেখা যায়। সেই গাড়ির নম্বর ধরে আনন্দপুর, ভাঙড়-সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ শনিবার রাতে আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে পাঁচ জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সচিন সিংহ, হরিশ কুমার, তৌসিফ এবং ইউনুস খান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা, তবে তাঁর নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। জানা গেছে, শুক্রবারই তাঁরা ওই গেস্ট হাউসে ওঠেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে কলকাতার নিউ টাউনের একটি আবাসন থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পটনা পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) যৌথভাবে ওই অভিযান চালায়। ওই পাঁচ জনের মধ্যে চার জন সরাসরি খুনের ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে। এই গ্রেফতারির পর ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে আরও পাঁচ জনকে আটক করা হয়। ফলে পটনা-কাণ্ডে মোট ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ জনে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে পটনার একটি হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি থাকা চন্দন মিশ্রকে গুলি করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিহারের বক্সার জেলার বাসিন্দা চন্দন নিজেও কুখ্যাত গ্যাংস্টার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২৪টি ফৌজদারি মামলা ছিল, যার মধ্যে ১২টি ছিল খুনের অভিযোগে। চিকিৎসার সময় পুলিশি নিরাপত্তায় থাকলেও, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং চন্দনকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পর তারা দু’টি বাইকে চড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এর আগে পটনা থেকেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৌসিফ রাজাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার একে একে বাকি অভিযুক্তরাও ধরা পড়তে শুরু করেছে।