ডিজিটাল ডেস্ক ২৪শে জুলাইঃ বিশ্বজুড়ে আকাশে আতঙ্ক! প্রত্যেকদিন বহু মানুষের এক দেশ থেকে অন্যদেশে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম শুধু বিমান। কারও রুটিরুজি থেকে শুরু করে বহু অর্থনৈতিক কারাবারের সঞ্চার ঘটে বিভিন্ন বিমান সংস্থার মাধ্যমে । শুধু তাই নয় সামরিক পরিষেবা ক্ষেত্রেও বিমানের ব্যবহার বহুল। ঠিক সেই আবহেই যখন বিমান দুর্ঘটনা ক্রমাগত অব্যাহত,সেই মুহূর্তেই প্রশ্ন উঠে যায় নানান বিমান সংস্থার দিকে, প্রশ্ন এও ওঠে যে সরকার বা সরকারি জায়গায় যে সমস্ত আধিকারিকরা বসে আছেন তাদের কর্তব্য ও দায়বদ্ধতা নিয়ে। গত কয়েকমাস ধরেই একের পর এক , প্রথমে আসল আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা, তারপর সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমান দুর্ঘটনা, অতিসম্প্রতি খবর আসল রাশিয়া সহ ইটালিও ভয়ঙ্ক্রর বিমান দুর্ঘটনার স্বাক্ষি থাকল(Plane Crash)। একের পর এক প্রশ্ন থাকেলও এই উত্তর অধরা যে যাত্রী সুরক্ষা কবে মিলবে ?
রুশ বিমান দুর্ঘটনা ——-
মাঝ আকাশেই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল রুশ বিমান! যার গন্তব্য় ছিল রাশিয়ার আমুর প্রদেশের চিন সীমান্তবর্তী শহর টিন্ডা। যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই খবর। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস সূত্রে খবর, বিমানটি সাইবেরিয়ার আঙ্গারা এয়ারলাইন্সের মালিকানাধীন। রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তের আমুর প্রদেশের টিন্ডা শহরে যাচ্ছিল সেটি। যা চিন সীমান্তবর্তী। জানা গিয়েছে, ছয় বিমানকর্মী-সহ প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। মাঝ আকাশেই হঠাৎ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বহু চেষ্টা করেও বিমানটির কোনও খোঁজ মেলেনি। তারপর সেটি খোঁজার জন্য় একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। খানিক পরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়। যা দেখে তদন্তকারীরা ৫০ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন।
শিয়ার স্থানীয় আপৎকালীন বিষয়ক মন্ত্রক জানায়, বিমানটি সাইবেরিয়ার আঙ্গারা এয়ারলাইন্সের মালিকানাধীন ছিল। আমুর প্রদেশের গভর্নর ভাসিলি ওরলভও সোশাল মিডিয়ায় জানান, যাত্রীদের মধ্যে পাঁচ জন শিশু রয়েছে।
ইতালি বিমান দুর্ঘটনা——–
ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হল ইটালির ব্রেসিয়াও । সেখানে আকাশ থেকে গোঁত্তা খেয়ে হাইওয়ের উপর ভেঙে পড়ল একটি এয়ারক্র্যাফট। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও দু’জন। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ব্রেসিয়ার কোরডামোলি-ওসপিটেল হাইওয়ের মাঝখানে। ছোট এয়ারক্র্যাফটি ইটালির গ্র্যাগনানো থেকে ট্রেবিয়েন্স যাচ্ছিল। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ সেটি গোঁত্তা খেয়ে আছড়ে পড়ে ব্যস্ত হাইওয়ের মাঝখানে।
ইটালি পুলিশ সত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বিমানের দুই যাত্রী সেরজিও রাভাগিলা (৭৫) এবং অ্যানা মারিয়া ডে স্তেফানোর (৬০)। সেরজিও মিলানের আইনজীবী। এছাড়াও হাইওয়েতে থাকা দুই গাড়ি চালক আগুনের গোলার মধ্যে ঢুকে পড়ে জখম হন। তাঁদের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিমান দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।