মন কি বাত-এ পহেলগাঁও হামলা, হুঁশিয়ারি প্রধানন্ত্রীর, ন্যায়বিচারের আশ্বাস

16

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল: পহেলগাঁও হামলার পর প্রতিটি ভারতবাসীর রক্তে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে দেশকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার তার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ১২১তম পর্বে।

হামলার কড়া নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কাশ্মীরে শান্তি ফিরছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল, স্কুল-কলেজের সংখ্যা এবং পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু শত্রুদের এটি পছন্দ হয়নি। সন্ত্রাসবাদীরা আবারও কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি নিহতদের পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করছি, তাঁরা ন্যায়বিচার পাবে। এই হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের কঠোরতম শাস্তি প্রদান করা হবে।”

পহেলগাঁও হামলার পর একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছেন, চিঠি লিখেছেন এবং বার্তা পাঠিয়েছেন। সকলেই এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা বিশ্ব আমাদের পাশে রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের আদর্শকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সমগ্র বিশ্ব দেখছে কীভাবে দেশ একসাথে এবং এক সুরে কথা বলছে।”

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত। তবে প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত থেকে স্পষ্ট, পহেলগাঁও হামলাকারী এবং তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করতে আগামী দিনে আরও বড় ধরনের পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনীতে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি সরকারি সভা ছিল। সেখান থেকে তিনি স্পষ্ট এবং শক্তিশালী ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন, “বিশ্বের যে প্রান্তেই জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকুক, ভারত তাদের খুঁজে বের করে নির্মূল করবে। যারা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয় বা আড়াল থেকে তাদের মদত দেয়, তারা কোনওভাবেই ছাড় পাবে না। যেটুকু জমি তাদের বাকি আছে, সেটাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।”