police operation In BJP Party Office: মন্ত্রীর স্বামীকে মারধর, রাজনৈতিক খেলা, বিজেপি কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের জের
ডিজিটাল ডেস্ক ১৫জুনঃ রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে শনিবার থেকেই উত্তপ্ত হয় বাঁকুড়ার খাতরা। এরই মধ্যে রবিবার রাতে বিজেপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল। বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জে বিজেপির জেলা কার্যালয়ের তালা ভেঙে পুলিশ ভিতরে ঢোকে বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের। ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে তুমুল বচসাও বাধে পুলিশের। যদিও পুলিশ সুপারের বক্তব্য, নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। কোনও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তারা ভিডিয়োগ্রাফি করেছে বলেও জানান তিনি। এ দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বাঁকুড়া সদর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির। যা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ছিলেন বিধায়ক চন্দনা বাউরি। তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিনা অনুমতিতে বিজেপি কার্যালয়ের তালা ভেঙে তছনছ করেছে। জরুরি কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেছে ( police operation In BJP Party Office)।’
শনিবার রাত আনুমানিক ২টো নাগাদ বাঁকুড়া জেলা বিজেপি কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে পুলিশের একটি দল। জেলার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হয় তল্লাশি। পুলিশকে বাধা দেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। যদিও ওই বাধা তোয়াক্কা না করেই পুলিশ পদ্মফুল শিবিরের দলীয় কার্যালয় ঢুকে তল্লাশি চালায়। রবিবার তল্লাশির প্রতিবাদে বাঁকুড়া সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার নেতারা। ঘণ্টাখানেক ধরে বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ মাঝরাতে বিজেপির জেলা দলীয় কার্যালয় যেভাবে হানা দিয়েছে তার নিন্দা করছি। তারই প্রতিবাদে এদিন এই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছি আমরা।”
বিজেপির জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কাউকে কিছু না জানিয়ে মাঝরাতে পুলিশ এসে আমাদের কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙেছে। আমরা তড়িঘড়ি চলে আসি বলে ওরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। খাতড়ার ঘটনা, অথচ বাঁকুড়ায় এসে এমনটা করল?’পাল্টা বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি রাজীব দের বক্তব্য, পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। দুষ্কৃতীরা যদি পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে তাদের ধরতে পুলিশকে তো যেতেই হবে।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি অবশ্য বলেন, ‘খাতড়ায় তুহিন মান্ডির উপরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত বাঁকুড়ার বিজেপি কার্যালয়ে আত্মগোপন করে আছে এমন খবর আমাদের কাছে ছিল। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সেখানে যাই। দলীয় কার্যালয়ের দরজায় থাকা তালা ভেঙে পুলিশ ভিতরে ঢোকে। কিন্তু কোনও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়নি। গোটাটার ভিডিয়োগ্রাফি করা আছে। এর মাঝেই বেশ কিছু লোকজন সেখানে জমায়েত করে পুলিশের কাজে বাধা দেয়। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছি।’