Post Poll Violence Life Time Imprisonment : রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নাবালিকাকে ধর্ষণ, মানিকচকে তৃণমূল নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ
ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুলাই : ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় প্রথমবার সাজা ঘোষণা করল আদালত। মালদহের পকসো কোর্ট তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে (Post Poll Violence Life Time Imprisonment)। অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলের সাজাও ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাটি ২০২১ সালের ৫ জুন মালদহের মানিকচকে। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন রফিকুল ইসলাম। পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে বিষয়টি ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলার আওতায় আসে। পরে সিবিআই তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হন অভিযুক্ত। আজ মালদহ পকসো আদালত তাঁর সাজা ঘোষণা করে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে হিংসার অভিযোগ। বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি অভিযোগ তোলে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এসব ঘটনার পেছনে রয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে চলতে থাকে খুন, লুঠ ও ভাঙচুরের ঘটনা—মালদহও তার ব্যতিক্রম ছিল না। মালদহের সেই সময়ের এক ঘটনায়, একটি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে ওই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হয়। মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার পর, অবশেষে ৪ বছর পর দোষী সাব্যস্ত হন রফিকুল ইসলাম। মালদহ পকসো আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসায় বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সম্প্রতি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তবে শনিবার সেই মামলার শুনানিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তদন্তের ধারা নিয়ে। বিচারকের প্রশ্ন ছিল—“চার বছরে কাউকে গ্রেফতার করার চেষ্টা হয়েছে? কাউকে গ্রেফতার করাটা কি জরুরি মনে করেছিলেন?” উত্তরে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ওই সময় যে অফিসার তদন্ত করছিলেন, তাঁর মতে অভিযুক্তরা সহযোগিতা করছিলেন, তাই গ্রেফতারের প্রয়োজন হয়নি। আদালতের এমন প্রশ্নে কার্যত তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা ও গতি নিয়েই উঠে এসেছে বড় প্রশ্নচিহ্ন।
সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বিচারক প্রশ্ন তোলেন, “এটা কি রসিকতা চলছে? চার বছর পরে চার্জশিট দিচ্ছেন! এর পরেও মনে করছেন, ওয়ারেন্ট জারির প্রয়োজন নেই?” এরপরই আদালত নির্দেশ দেয়—চার্জশিটের কপির সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এই পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট, দীর্ঘসূত্রিতা ও তদন্তের গতি নিয়ে আদালতের অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে।