ডিজিটাল ডেস্ক ৭ জুনঃ দারিদ্রতা অনেক কঠিন একটি শব্দ। এই শব্দের আসল মানে তারাই বুঝে যারা একবার দারিদ্রতার মধ্যে জীবন কাটিয়ে এসেছে। আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। কিন্তু তার মধ্যেও কিছু প্রকারভেদ হয়েছে যেমন কিছু কিছু দারিদ্র্য রয়েছে যারা অন্তত নিজের খাবারটুকু আয়োজন করতে পারে। কিন্তু সমাজে এমনও দারিদ্র রয়েছে যারা নিজের খাবার ও যোগাতে পারে না। সাধারণ যে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সেগুলো প্রয়োজন সেগুলোও ব্যবস্থা করতে পারে না। আমাদের দেশে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা রাতে ঘুমানোর জন্য মাথার উপরে চাল টুকু পর্যন্ত জোগাড় করতে পারে না(Poverty Free)।
গত এক দশকে ভারতে দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন প্রায় ২৭ কোটির বেশি মানুষ। বিশ্বব্যাঙ্কের নয়া রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০১১-১২ সালে যেখানে দেশে দারিদ্রসীমার নিচে ছিলেন ৩৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ। ২০২২-২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫২ লক্ষ ৪০ হাজার। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১১-১২ সালে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ- এই পাঁচ রাজ্যের মানুষই মোট দরিদ্রের ৬৫ শতাংশ ছিলেন। ২০২২-২৩ সালে তা দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে ২০২১ সালের হিসেবে দৈনিক ৩ ডলারকে আন্তর্জাতিক দারিদ্ররেখা হিসেবে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। দেখা যাচ্ছে, গ্রামে দারিদ্ররেখার নিচে যেখানে আগে ছিল ১৮.৪ শতাংশ, তা এখন ২.৮ শতাংশ। সেখানে গত ১১ বছরে শহরের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের শতকরা হার ১০.৭ শতাংশ থেকে নেমে মাত্র ১.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
দেশে দারিদ্র আছে কি নেই, এই নিয়ে প্রচার ও পালটা প্রচার শাসক ও বিরোধীদের বরাবরের কৌশল। যদিও সাম্প্রতিক ভারতে নির্বাচনী কৌশল হিসাবে দারিদ্র, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলি গুরুত্ব হারাচ্ছে, ক্রমশ গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ধর্ম। এর পরেও অবশ্য লোকসভা ভোটের তিন মাস আগে নীতি আয়োগ দাবি করেছিল, মোদি সরকারের দশ বছরে ২৪.৯ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের প্রচার চালান মোদি।