Puri Youth Dead : পুরীর অগ্নিদগ্ধ কিশোরীর মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর দাবি বাবার!

51

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ অগাস্ট : হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু এবং তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক (Puri Youth Dead)। এ প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “মর্টার শেলটি কীভাবে সেখানে এল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছি এবং সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়ে অবশেষে দিল্লির এইমসে মৃত্যু হয়েছে পুরীর ওই কিশোরীর। তাঁর মৃত্যুর পর ওড়িশা পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতীর জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

এরপর সামনে আসে মৃতা কিশোরীর বাবার একটি আবেগঘন ভিডিও বার্তা। সেখানে তিনি জানান, মেয়েকে হারিয়ে তিনি চরম মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। এই ঘটনাকে ঘিরে কোনওরকম রাজনীতি না করার অনুরোধ জানান তিনি। ভিডিওতে তিনি বলেন, “আমি আমার মেয়েকে চিরতরে হারিয়েছি। এটা কোনও দুষ্কৃতীর কাজ নয়, অতিরিক্ত মানসিক চাপে পড়েই সে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে। ওড়িশা সরকার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি— দয়া করে এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগাবেন না।”

১৯ জুলাই ওড়িশার পুরীর রাস্তায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক কিশোরীকে দৌড়াতে দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। আতঙ্কের সেই দৃশ্যের প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা দুঃখীশ্যাম সেনাপতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “মেয়েটি আমাদের বাড়ির দিকে ছুটে আসছিল, তখনও ওর গায়ে আগুন জ্বলছিল। ওর হাত বাঁধা ছিল। আমি, আমার স্ত্রী এবং মেয়ে মিলে আগুন নিভিয়ে তাকে নতুন পোশাক পরিয়ে দিই। তখন সে জানিয়েছিল, দু’টি বাইকে করে আসা তিনজন ব্যক্তি তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।”

এই ঘটনায় মৃতা কিশোরীর মা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নামে পুলিশ। তবে পুলিশি তদন্তে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, যাতে দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

এই অবস্থায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে একজন কিশোরী কেনই বা মিথ্যে বলবে? যিনি অভিযোগ করেছিলেন— সেই মা এখন নিঃশব্দ, আর যিনি এতদিন চুপ ছিলেন— সেই বাবা এখন বলছেন, এটি আত্মহত্যা। প্রায় ১৫ দিন মেয়ের মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলার সময় বাবা কেন নিশ্চুপ ছিলেন? চাপ দেওয়া হচ্ছে কি মৃতার পরিবারকে?— উঠছে এমন প্রশ্নও।