ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ জুলাই : নিজের বিকৃত ও অশ্লীল ছবি ছড়ানোর অভিযোগে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার। ঘটনার ১৩ দিন পর, শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চললেও এতদিন থানায় অভিযোগ না জানানোর কারণে একদিকে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছিল, অন্যদিকে শাসকদলের অন্দরেও তৈরি হচ্ছিল জল্পনা। এমনকি বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষও রাজন্যাকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন (Rajanya Halder Police Complaint)।
রাজন্যার অভিযোগ, কসবার ল কলেজে গণধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলার পরই তাঁকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে ও ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এই বিকৃত ছবি ছড়ানো হয়। তাঁর দাবি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে ওইসব ছবি তৈরি করে ছড়ানো হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের ফোনে, যাতে তাঁকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়।
এআই-Generated ছবি ঘিরে বিতর্কের মাঝেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যাকে ফোন করেছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁদের এই ফোনালাপ ঘিরেও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা ও রাজনৈতিক গুঞ্জন। এদিকে, বিকৃত ছবি ছড়ানোর ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই একাংশ জড়িত থাকতে পারে— এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজন্যা হালদার। যদিও দায়ের করা এফআইআরে তিনি কারও নাম স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি। তবে রাজন্যা জানিয়েছেন, পুলিশ চাইলে তিনি অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানাতে প্রস্তুত।
শাসকদলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে রাজন্যা হালদার তাঁর বিরুদ্ধে ছড়ানো কিছু বিকৃত ছবি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি অনুরোধ করেছেন, ছবিগুলি প্রযুক্তিগতভাবে পরীক্ষা করে এটি এআই বা অন্য কোনও উপায়ে বিকৃত করা হয়েছে কি না, তার রিপোর্ট দ্রুত জমা দেওয়া হোক। পাশাপাশি, দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।