Rajanya Halder Trinamool Youthleader:তৃনমূলে চিঁড় ! কসবার পর রাজন্যার ‘AI অশ্লীল ছবি’ঘিরে প্রিয়দর্শিনীদের তরজা তুঙ্গে

23

ডিজিটাল ডেস্ক ৭ই জুলাইঃ কসবা গণধর্ষণ কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার। তাঁর বিকৃত ছবিও নাকি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরত। তাহলে এতদিন এই নিয়ে পুলিশে কেন কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি রাজন্যা? কসবাকাণ্ডের পর তাঁর এই মুখ খোলা নিয়ে এই প্রশ্নই তুলছেন ফিরহাদ হাকিম ও অতীন ঘোষের কন্যারা(Rajanya Halder Trinamool Youthleader)।

কী বলছেন দুই প্রিয়দর্শিনী?

কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কন্যা তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়দর্শিনী ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এতদিন চুপ থেকে এখন কেন মুখ খুলছেন? এ তো ভয়ানক অভিযোগ। যদি হয়ে থাকে, তাহলে যে বা যারা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। কী কারণে এতদিন চুপ থাকল, তা নিয়ে রাজন্যার উপরও রাগ হচ্ছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘মেয়েটি জনপ্রিয় মুখ। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তৃতা করেছেন। দিদির বাড়িতে বিজয়া করতে গিয়ে তাঁকে সেখানে দেখেছি। যদি ব্যক্তিগতভাবে দিদিকে বলতেন, দিদি নিশ্চয় দেখতেন। কখনও কোনও মহিলা বিদ্বেষী কিছু দেখলে আমিও দলকে জানিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের মতো মহিলাদের কাছে দিদি শেষ আশা ভরসা। দিদিকে চিঠি লিখলে কিংবা বললে আমার মনে হয় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে প্রশ্রয় দেবেন। এখনও FIR করেনি। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করা উচিত। নির্দিষ্টভাবে এই সময়টা বেছে নেওয়া, এই সময়টা আমাকে ভাবিয়ে তুলছে।’

রাজন্যা পুলিশে অভিযোগ না করে কেন এখন মুখ খুলছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রিয়দর্শিনী বলেন, “কখনও কোনও মহিলা বিদ্বেষী কিছু দেখলে আমিও দলকে জানিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের মতো মহিলাদের কাছে দিদি শেষ আশা ভরসা। দিদিকে চিঠি লিখলে কিংবা বললে আমার মনে হয় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে প্রশ্রয় দেবেন। এখনও এফআইআর করেনি। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ করা উচিত। নির্দিষ্টভাবে এই সময়টা বেছে নেওয়া, এই সময়টা আমাকে ভাবিয়ে তুলছে।”

রাজন্যার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রান্তিক চক্রবর্তী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিনিও বহিষ্কৃত নেতা। রাজন্যা ও প্রান্তিকের উদ্দেশে প্রিয়দর্শিনী বলেন, “দু’জনেরই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। নেতৃত্বকে বলা উচিত ছিল। তৎক্ষণাৎ এই কুকাজ বন্ধ করা উচিত ছিল।” রাজন্যা পদক্ষেপ করলে তারপর এইসব অপরাধপ্রবণতা বন্ধ হয়ে যেতে পারত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রিয়দর্শিনী বলেন, ” ওইসময় এটা বন্ধ হয়ে গেলে, তাহলে হয়তো এই অপরাধপ্রবণতা যে বা যারা করছিল, তাদের মাথা থেকে বেরিয়ে যেত। তারা ভাবত যে দল পদক্ষেপ করেছে।”

তৃণমূলকে কি বিপাকে ফেলতেই রাজন্যা এখন মুখ খুলছেন? প্রিয়দর্শিনী বলেন, “তৃণমূলকে বিপাকে ফেলার মতো ক্ষমতা রাজন্যার আছে বলে মনে হয় না। ভুলপথে পরিচালনার জন্য অনেকেই থাকবে। এই ধরনের আচরণ করার কারণ জানি না।” রাজন্যার পাশে কি তিনি থাকবেন? প্রশ্ন শুনেই তাঁর বক্তব্য, “রাজন্যা কি দলের পাশে থাকল, এই প্রশ্নটা আগে থাকল?”