Rajanya On Manojit : বিস্ফোরক রাজন্যা! তৃণমূলের দাদারাই জুনিয়রদের ফোনে এআই দিয়ে তৈরি অশ্লীল ছবি ছড়িয়েছে?

62

ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুলাই : কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার পর, একের পর এক অস্বস্তিকর অভিযোগ উঠে আসছে। এবার দলের অন্দরেও শোরগোল—প্রাক্তন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার সরাসরি অভিযোগ তুললেন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে (Rajanya On Manojit)। রাজন্যার দাবি, কলেজে মনোজিতের এই ধরনের আচরণের ইতিহাস রয়েছে, এবং বহুজন সেই অপসংস্কৃতির প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি আরও বলেন—”এখন যদি বলি কিছু জানতাম না বা বুঝতাম না, তাহলে সেটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা হবে। আমরা নিজেরাও কোথাও না কোথাও এই ‘দাদা-সংস্কৃতির’ প্রশ্রয় দিয়েছি। তার ফলই আজকের এই ভয়ংকর পরিস্থিতি।” রাজন্যা আরও জানিয়েছেন, মনোজিৎ একবার নিজের প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও নিজেই ছড়িয়ে দেয়। এই কাজের মাধ্যমে তার মানসিক গড়ন এবং বিকৃত প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মনোজিত মিশ্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও, প্রাক্তন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চে তাঁদের মাঝে মাঝে দেখা হয়েছে। সেই পরিচয় মূলত তাঁর স্বামী প্রান্তিকের সূত্রেই। রাজন্যা প্রশ্ন তুলেছেন, “আমি যদি বাইরে থেকে অনেক কিছু টুকরো টুকরোভাবে জানতে পারি, তাহলে যারা বছরের পর বছর সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁরা কিছুই জানতেন না?” তাঁর অভিযোগ, সংগঠনের ভেতরে একপ্রকার ‘দাদা সংস্কৃতি’ গড়ে উঠেছে, যেখানে কয়েকজন পুরুষ নেতার এমন দাপট তৈরি হয়েছে—তাঁরা নারীদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেও দ্বিধা করেন না।

কসবা ল কলেজ-কাণ্ডে বিতর্কের আবহে এবার আরও বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার। তাঁর দাবি, কিছু তথাকথিত ‘দাদা’ নেতা পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের উপর কর্তৃত্ব কায়েম করেন। রাজন্যার কড়া বার্তা, “এই আধিপত্যবাদী মানসিকতার অবসান হওয়া উচিত। এখন যদি না হয়, তাহলে আর কবে?” এখানেই থেমে থাকেননি রাজন্যা। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁরই এআই দিয়ে তৈরি করা একটি অশ্লীল ছবি কিছু তৃণমূল নেতার একাংশ ছড়িয়ে দিয়েছে জুনিয়রদের মধ্যে। তাঁর কথায়, “এই দাদাদের কোনও দল হতে পারে না। তবুও বলছি, ওরা তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে এসব করছে।” রাজন্যার বক্তব্য ঘিরে শাসক দলের অন্দরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ শুধু ব্যক্তি নয়, বরং এক বৃহত্তর সাংগঠনিক সংস্কৃতির দিকেই ইঙ্গিত করছে—যেখানে প্রভাবশালীরা থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।