Recover Second Black Box:অভিশপ্ত বিমানের উদ্ধার দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স ,দুর্ঘটনার কারণ আসতে সময়ের অপেক্ষা

10

ডিজিটাল ডেস্ক ১৬জুনঃ আগেই পাওয়া গিয়েছিল আমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্স সহ ভয়েস রেকর্ডারের । এ বার উদ্ধার করা গিয়েছে ওই বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটিও। তদন্তকারী আধিকারিকরা, রবিবার, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ ফ্লাইটের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ব্ল্যাক বক্স এমনি একটি বস্তু যেটি ছাড়া বিমানের যাবতিয় তথ্য পাওয়া খুবই মুশকিল। বিশেষ করে যখন কোন বিমান দুর্ঘটনার কবলে এসে পড়ে। ঠিক সেই আবহেই যখন আমেদাবাদের বিমানের দুর্ঘটনার ব্ল্যাক বক্স ঘিরে নানান তরজা উঠে এসেছে চারপাশে । এই দ্বিতীয় ব্ল্যক বক্স পাওয়া পর না নানা থ্য উঠে এসেছে। নিশ্চিত করেছে এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো। এখনও পর্যন্ত ৮০ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩৩ জনের দেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল । কী কারণে আহমেদাবাদে বিমান বিপর্যয় সহ ব্ল্যাক বক্সের নানা তথ্য তদন্তকারীদের নজরে । আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১-এর ব্ল‍্যাক বক্স -এ। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন তাই নজর সেটির দিকেই। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই ব্ল‍্যাক বক্স? সব প্লেনেই দুরকমের ব্ল‍্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল‍্যাক বক্সে। প্রসঙ্গত, গত ১২ তারিখে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ওই ফ্লাইট। ওই ফ্লাইট ভেঙে মৃত্যু হয় প্রায় ২৭০ জনের । এদের মধ্যে ২৪১ জন ওই বিমানের যাত্রী। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই ফ্লাইটে থাকা একজন মাত্র যাত্রী দুর্ঘটনার পরে বেঁচে গিয়েছিলেন (Recover Second Black Box) ।

এই বিমান দুর্ঘটনার জেরে কেন্দ্রের তরফে আগেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল । অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী রাম মোহন নাইডুর নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে বিদেশি তদন্তকারী দল সহ বিশেষ অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সার্কিট হাউসে হওয়া ওই উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনায় পিকে মিশ্র কেন্দ্রীয় এবং গুজরাট রাজ্য সরকার, এএআইবি এবং ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বিমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস এই ব্ল্যাক বক্স যা দেখতে কমলা রঙের । এই যন্ত্র দুর্ঘটনার সময় ঠিক কী সিচ্যুয়েশন বিমানের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, গোটা ঘটনার পুননির্মান করে ফেলে এই ডিভাইস। এবার আসা যাক, ককপিটের অডিও রেকর্ড বলতে ঠিক কী কী রেকর্ড করে এই ডিভাইস? ককপিটে পাইলটের কথোপকথন, ইঞ্জিনের নয়েজ এবং রেডিও মাধ্যমে কী কী বার্তা গিয়েছে, তার যাবতীয় হালহকিকত দিয়ে দেয় এই ব্ল্যাক বক্স। কারণ তদন্তকারীরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইঞ্জিন নয়েজকেই। ইঞ্জিন নয়েজ থেকেই বুঝে নেওয়া হয়, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে কতটা স্পিডে চলছিল ইঞ্জিন, ঠিক কোন কোন সিস্টেমগুলি ফেল করে গিয়েছিল? কী কী সতর্কবার্তা ছিল, তাও জানান দেয় এই ডিভাইস।