Recovered Black Box:দেখতে কমলা রঙের নাম ‘ব্ল্যাক বক্স”,খোঁজ মিলল ,উত্তর মিলবে অভিশপ্ত সময়ের?

20

ডিজিটাল ডেস্ক ১৩ জুনঃ হদিশ মিলল আহমেদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১-এর একটি ‘ব্ল‍্যাক বক্সে’র। বিমানে সচরাচর দুটি করে ব্ল্যাক বক্স থাকে। একটি সামনের দিকে, একটি পিছনের দিকে। জানা গিয়েছে, বিমানের পিছনের দিকের “ব্ল্যাক বক্সটির” হদিশ পাওয়া গিয়েছে ,সঙ্গে খোজ মিলেছে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ডেটা রেকর্ডারও। সেটা খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই ডিজিসিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে ওই ব্ল্যাক বক্সটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটি খতিয়ে দেখলেই দুর্ঘটনার কারণ, শেষ মুহূর্তে কী হয়েছিল, সবটা জানা যেতে পারে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ভিতরের শেষ কথা। সতর্কতামূলক অ্যালার্ম। এবং উড়ানের পথের তথ্য সংরক্ষণ। সবই রয়েছে ব্ল‍্যাক বক্স-এ। সামনের দিকের ব্ল্যাক বক্সের হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন নজর, কমলা রঙের ওই মেটালিক বক্সের দিকে। যা আসলে ‘ব্ল‍্যাক বক্স’ নামেই পরিচিত(Recovered Black Box)।

দুর্ঘটনায় বিমানের পিছনের অংশের ক্ষতি কম হয় বলে বিমানের পিছন দিক বা লেজের অংশে থাকে ব্ল্যাক বক্স। এটি বিমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। এই যন্ত্র দুর্ঘটনার সময় ঠিক কী সিচ্যুয়েশন বিমানের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, গোটা ঘটনার পুননির্মান করে ফেলে এই ডিভাইস। এবার আসা যাক, ককপিটের অডিও রেকর্ড বলতে ঠিক কী কী রেকর্ড করে এই ডিভাইস? ককপিটে পাইলটের কথোপকথন, ইঞ্জিনের নয়েজ এবং রেডিও মাধ্যমে কী কী বার্তা গিয়েছে, তার যাবতীয় হালহকিকত দিয়ে দেয় এই ব্ল্যাক বক্স। কারণ তদন্তকারীরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইঞ্জিন নয়েজকেই। ইঞ্জিন নয়েজ থেকেই বুঝে নেওয়া হয়, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে কতটা স্পিডে চলছিল ইঞ্জিন, ঠিক কোন কোন সিস্টেমগুলি ফেল করে গিয়েছিল? কী কী সতর্কবার্তা ছিল, তাও জানান দেয় এই ডিভাইস।

ব্ল্যাক বক্স মূলত দুটি প্রধান বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়। একটি হল “সি ভি আর” এবং “অপরটি এফ ডি আর”। “সি ভি আর” হল ককপিট ভয়েজ রেকর্ডার । যার কাজ মূলত অন্তিম দু’ঘন্টার ককপিটের যাবতীয় আওয়াজ কথোপকথন এবং সতর্কবার্তার জন্য অ্যালামের সাউন্ড রেকর্ড করে রাখা। “এফ ডি আর” অর্থাৎ ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার এর কাজ হল বিমানের ২৫ ঘণ্টার যাবতীয় তথ্য উচ্চতাগত তথ্য, স্পিড এবং বিমানের ইঞ্জিন পারফর্মেন্স রেকর্ড করে রাখা।