ডিজিটাল ডেস্ক, ১৬ অগাস্ট : শুক্রবার দুপুরে সল্টলেক সিটি সেন্টারের কাছে একটি চারচাকা গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হলেন এক ডেলিভারি বয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, স্কুটিতে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি, যার জেরে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান স্কুটি আরোহী। অভিযোগ উঠেছে, দুর্ঘটনার পর গাড়ির চালক নামার পর আহত যুবককেই মারধর করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন এবং আহত ডেলিভারি বয়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান (Saltlake Accident)।
ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক ভিড় জমে যায় এবং দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত গাড়ি চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কীভাবে এই সংঘর্ষ ঘটল এবং কারও গাফিলতি ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সল্টলেকে টানা দ্বিতীয়বার ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল। মাত্র দু’দিন আগেই কেষ্টপুর সংলগ্ন ৮ নম্বর সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে থাকা এক ডেলিভারি বয়ের বাইকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। সেই ধাক্কায় তিনি সেতুর রেলিংয়ে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মৃতের নাম সৌমেন মণ্ডল, তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার হিরন্ময়পুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিগনালে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সৌমেন। ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিল আরেকটি বাইক, এবং খানিকটা পিছনে ছিল সাদা রঙের একটি গাড়ি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, আচমকা ডান দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসে একটি কালো গাড়ি এবং সজোরে ধাক্কা মারে সৌমেনের বাইকে। সেই ধাক্কায় তিনি রেলিংয়ের দিকে ছিটকে যান। মুহূর্তের মধ্যেই গাড়িটিতে বিস্ফোরণ ঘটে, এবং সৌমেনের দেহ জীবন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে যায়।
এই ঘটনার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে ওঠায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে। পাল্টা পুলিশের দিকে ইট-পাথর ছোড়া হয়। সংঘর্ষে আহত হন একাধিক পুলিশকর্মী। অবশেষে র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘাতক গাড়ির চালককে পরদিন হাওড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সল্টলেকে ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে দুর্ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াল।