Saltlake Accident Death Police Public Clash : সল্টলেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! পুড়ে মৃত্যু ডেলিভারি বয়ের, পুলিশ- জনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সল্টলেক!
ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ অগাস্ট : সল্টলেকে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ডেলিভারি বয়ের। বাইকে করে যাওয়ার সময় রাস্তার ধারের রেলিংয়ে ধাক্কা মারার পর একটি চারচাকা গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই গাড়ির মাঝে কোনওভাবে আটকে পড়েন ওই যুবক। মুহূর্তে আগুনে ঝলসে যান তিনি।
দুর্ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পুলিশের উপর শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফ। গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (Saltlake Accident Death Police Public Clash)।
সল্টলেকে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক ডেলিভারি বয়ের। বাইকে যাওয়ার সময় রাস্তার ধারে রেলিংয়ে ধাক্কা মারেন তিনি। সেই সঙ্গে একটি চারচাকা গাড়িতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনার তীব্রতায় ওই যুবক গাড়ির মাঝে কোনওভাবে আটকে পড়েন এবং মুহূর্তে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। শুরু হয় বিক্ষোভ, পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের উপর ছোড়া হয় ইটপাটকেল। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় র্যাফ। এলাকায় তৈরি হয়েছে চরম চাঞ্চল্য।
দমকল সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনার খবর পৌঁছায় তাদের কাছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর জ্বলন্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ডেলিভারি বয়কে। তবে ততক্ষণে মারাত্মকভাবে ঝলসে গিয়েছিলেন তিনি।
ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সময়মতো ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয়। কেউ উদ্ধারকার্যে নামেনি, বরং ভিডিয়ো করতে ব্যস্ত ছিল বলে দাবি। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “সবকিছু পুলিশের সামনেই হয়েছে। তারা শুধু দেখছিল, আমরা নিজেরাই গিয়ে লোকজনকে গাড়ি থেকে বের করেছি। গাড়ির চালক নেশাগ্রস্ত ছিলেন। পুলিশ যদি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিত, ছেলেটাকে হয়তো বাঁচানো যেত।”
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “আমরা বালতিতে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আগুন এতটাই ভয়ানক ছিল যে কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ছেলেটা চোখের সামনে পুড়ে গেল।”
সূত্রের খবর, গাড়িতে থাকা অন্য যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারাল কেন, এবং কোন পরিস্থিতিতে ওই ডেলিভারি বয় গাড়ির মাঝে আটকে গেলেন—তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সল্টলেক পূর্ব থানা। অন্যদিকে, এলাকায় ক্রমশ উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ এবং র্যাফ।