ডিজিটাল ডেস্ক ১৬ই জুলাইঃ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের স্মৃতি জড়িত বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তারপরই কেন্দ্রও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানান ? সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি বাংলার রেনেসাঁর প্রতীক। মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে তা মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। এই বাড়ি সংরক্ষণ,সংস্কার এবং মেরামতের জন্যে ভারত সরকার সব রকমের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছে । ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায়চৌধুরী রোডে রয়েছে সত্যজিতের পূর্বপুরুষদের বাড়ি(Satyajit Ray House Demolished)। সম্প্রতি এই বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে ইউনূস সরকার।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে যে বাড়িটি বাঙালি সংস্কৃতির নবজাগরণের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। বাংলার সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রতীক হিসেবে ভবনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এটি ভেঙে ফেলার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক এবং সাহিত্য জাদুঘর ও ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে এর সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের বিকল্পগুলো খুঁজে দেখা উচিত হবে। ভারত সরকার এই উদ্দেশ্যে সহযোগিতার হাত বাড়াতে ইচ্ছুক বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি বাড়িটি ব্যবহার করত। তবে গত দশ বছর ধরে ওই বাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় সেখানে আর অ্যাকাডেমির কাজ চালানো যায় না। নতুন করে অ্যাকাডেমির কাজ শুরু করার জন্য এই শতাব্দীপ্রাচীন বাড়িটি একেবারে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাড়িটির একটি বড় অংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেই জায়গায় নতুন ভবন তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল এবং প্রায় এক দশক ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। আগে এটিতে ময়মনসিংহ শিশু অ্যাকাডেমি ছিল কিন্তু পরে তা পরিত্যক্ত হয়ে যায়। একজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে নতুন পরিকল্পনায় শিশু অ্যাকাডেমির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য ওই স্থানে একটি নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর জন্য,পুরানো ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে।