Shibu Soren: প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ,দীর্ঘরোগে ভুগছিলেন শিবু সোরেন

46

ডিজিটাল ডেস্ক ৪ঠা অগাস্টঃ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন দীর্ঘ অসুস্থতার পর সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে প্রয়াত হন। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হয়। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিবু সোরেনের কিডনিতে সংক্রমণ হয়েছিল। ব্রঙ্কাইটিসও ধরা পড়ে(Shibu Soren)।

কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে জুলাই মাসে শিবু সোরেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। শিবু সোরেনের মৃত্যুতে ছেলে হেমন্ত সোরেন বলেন, শ্রদ্ধেয় দিশোম গুরুজি আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। আজ আমি শূন্য হয়ে গেছি।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘শিবু সোরেন তৃণমূল স্তরের নেতা ছিলেন। জনগণের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ছিল অটল। জনজীবনের নানা স্তরে উঠে এসেছিলেন তিনি। বিশেষত, উপজাতি সম্প্রদায়, দরিদ্র ও নিপীড়িতদের ক্ষমতায়নের লক্ষে লড়াই করেছে। তাঁর মৃত্যুতে আমি শোকাহত। ওঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা। শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্তের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’

পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার আদিবাসী ভাইবোনদের গুরু দিশোম (মহান নেতা) শিবু সোরেনের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। আমার ভাই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তাঁর পরিবার এবং সকল শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম ও শ্রদ্ধা করতাম। তাঁর প্রয়াণে ঝাড়খণ্ড ইতিহাসের একটি অধ্যায় আজ শেষ হলো।’

ঝাড়খণ্ড তথা জাতীয় রাজনীতিতে শিবু সোরেন এক উল্লেখযোগ্য নাম। আদিবাসী এই নেতা ৩৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ৮ বার লোকসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় রাজনীতিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সামলেছেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। তিনবার রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন তিনি। ঝাড়খণ্ড রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন শিবু। জাতীয় রাজনীতিতেও তাঁর প্রভাব কিছু কম ছিল না। রাজ্যের মানুষের কাছে শিবু সোরেন ছিলেন দিশোম গুরু (দেশের গুরু)।