ডিজিটাল ডেস্ক, ২ জুন : উত্তর সিকিমে আবহাওয়ার উন্নতির ফলে আটক পর্যটকদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে লাচুঙে আটকে পড়া পর্যটকদের সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে প্রশাসনের মতে, লাচেন থেকে পর্যটকদের সরিয়ে আনা তুলনামূলকভাবে কঠিন হবে এবং এতে আরও সময় লাগতে পারে। অন্যদিকে, সিকিমের ছাতেনে ভূমিধসের কারণে একটি সেনাক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন, এবং ছয়জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা সাতটার সময় এই ধস নামে (Sikkim Disaster)।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনার তৎপরতায় আটক পর্যটকদের উদ্ধার অভিযান চলছে। প্রশাসনও বিকল্প পথ ও উপায় খুঁজছে, যাতে উপদ্রুত এলাকা থেকে দ্রুত পর্যটকদের সরিয়ে আনা যায়। উদ্ধার কার্যক্রমে লাচুং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। উত্তর সিকিমে রবিবার রাত পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টি হলেও সোমবার সকালে অনেক জায়গায় রোদ উঠেছে, যার পরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। প্রশাসনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৮টি গাড়ির মাধ্যমে ১০০-রও বেশি পর্যটককে সরিয়ে আনা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রশাসনের সঙ্গে উদ্ধারকাজে স্থানীয় লাচুংপা সম্প্রদায়ের সদস্যরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। সম্প্রদায়ের অনেকেই স্থানীয় হোটেলের মালিক, এবং সোমবার সকালে আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আটকে থাকা পর্যটকদের সহায়তা করেছেন। অনেকেই পর্যটকদের ব্যাগ বহন করে গাড়িতে তুলে দিয়েছেন, যাতে দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
টানা কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে উত্তর সিকিমে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ধস নামার কারণে বেশ কিছু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রবিবারও সেখানে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে তিস্তার জলস্তর বেড়ে গেছে, সঙ্গে নেমেছে ধস। এর ফলে উত্তর সিকিমের বহু এলাকা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পর্যটকদের একাংশ সেখানে আটকে পড়েছেন, প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে যে এই সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। সিকিম সরকার আগেই তাঁদের হোটেল ও হোমস্টেতে অবস্থান করতে নির্দেশ দিয়েছে। উত্তর সিকিমের অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ সমস্যা রয়ে গেছে, আর চুংথাঙে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসন ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ কাজে বাধা আসছে।