Sikkim Flood Update : উত্তর সিকিমে বন্যা পরিস্থিতি! ধস রাস্তায়, জারি লাল সতর্কতা, ব্যাহত উদ্ধারকাজও

23

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩১ মে : উত্তর সিকিমে আবারও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার রাতভর প্রবল বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদী প্লাবিত হয়ে গেছে, যার ফলে একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার উত্তর সিকিমের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে (Sikkim Flood Update)। পাশাপাশি, শনিবার থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিস্তা সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির কারণে ধস নেমেছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে. টুং চেকপোস্টের কাছে ধস নামায় সেখানকার রাস্তা বন্ধ। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে নামচি জেলার লেগশিপ ও কিউজিংয়ের মাঝে ধস নেমেছে, যেখানে একটি তেলবোঝাই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এছাড়া, উত্তর সিকিমের ফিদাং গ্রাম প্রায় বন্যাকবলিত, এবং তিস্তার নিম্নস্তরে জল ক্রমশ বাড়ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলছে. প্রশাসন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

সিকিম সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে যে উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমস্ত দফতরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিস্তা নদীর প্লাবনের ফলে ডিকচু ও সিংথামসহ একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই প্রশাসন বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে। তিস্তা সংলগ্ন বাসিন্দাদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে, এবং তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, তিস্তার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসন পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

গত বৃহস্পতিবার উত্তর সিকিমের চুংথাং থেকে মুন্সিথাং যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পর্যটকদের একটি গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি প্রায় ১০০০ ফুট নিচে তিস্তা নদীতে পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটিতে ১১ জন যাত্রী ছিলেন, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ত্রিপুরার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, এবং দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনও ৯ জন পর্যটকের খোঁজ মেলেনি, এবং উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রবল বর্ষণের কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটছে, তবে সেনাবাহিনী, আইটিবিপি এবং সিকিম পুলিশ উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন নিখোঁজদের সন্ধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।