ডিজিটাল ডেস্ক ১১ জুনঃ ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে বাংলার মাটি ততই তেঁতে উঠছে। সেই আবহে আবারও ভাঙ্গড় রাজ্য রাজনীতির টপ স্পটে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর ভাই কাশেম সিদ্দিকী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন। আর এরপরই কৌতূহল তৈরি হয়েছে যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ে নওসাদের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করবে কিনা তৃণমূল। মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই খোদ নওসাদের বক্তব্য ছিল, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে চান। বুধবার সেই বিধানসভার বাইরে থেকেই এই ইস্যুতে নওসাদকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা । তাঁর সাফ কথা, ২০২৬-এ ভাঙড়ের বিধায়ককে তিনি হারাবেন। আর যদি না হারাতে পারেন তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! পরোক্ষে কাশেম সিদ্দিকীর প্রসঙ্গ টেনে শওকত বলেন,”নওসাদ নিজের পরিবারের লোকদের ধরে রাখতে পারছেন না। আর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াবে বলে তো পালিয়ে গেছিল। ২০২৬-এ ভাঙড়েও গো-হারা হারবেন। তাঁকে না হারাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব(Soukat Molla,Naushad Siddiqui Conflict)।”
এখনও প্রায় হাতে-কলমে ৮-৯ মাস বাকি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের । রাজনৈতিক মহলের ধারণা কাশেম সিদ্দিকীর তৃণমূলে পদ পাওয়া নিয়ে বেশ জোরাল আলোচনা ইতিমধ্যেই। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিরও তুতো ভাই তিনি। একদা রাজ্য পুলিশ নওসাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করার পর এই কাসেমই ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দিয়ে যা তা কথা বলেছিলেন নবান্নের উদ্দেশে। তিনি নওসাদ ও আব্বাসের অতিশয় ঘনিষ্ঠ বলেই ফুরফুরা জানে। সেই কারণেই এখন কাশেমের মতিগতি নিয়ে এত আলোচনা।
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল নওসাদ ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি। এই নিয়ে তৃণমূল ব্যাপকভাবে কটাক্ষ করেছিল ভাঙড়ের বিধায়ককে। এখন আবার তিনিই বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের বিরুদ্ধে চাইছেন! এই নিয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক নওসাদকে খোঁচা দিয়ে বলেন কুঁজোরও চিৎ হয়ে শুতে ইচ্ছে করে! গত ১৮ ই মার্চ পার্ক সার্কাস ময়দানে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিল কলকাতা পুরসভা। সেই ইফতার পার্টিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক সারিতে দেখা গেছিল নওসাদ কাসেম এবং নাজিমুদ্দিন হোসেনকে। সেই থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে তৃণমূলের এই পদক্ষেপে ফুরফুরা শরিফের একাংশ যে অখুশি হবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।