ডিজিটাল ডেস্ক ২১ অগাস্টঃ এখনও অযোগ্যদের নিয়োগ করার চেষ্টা করছে রাজ্য! এমন অভিযোগ শুনেই ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। এদিন সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকজন চাকরিহারা দাবি করেন তাঁরা সুপ্রিম-রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন,ফলে ফর্ম ফিল আপ করেননি। সময় বাড়ানোর আর্জি জানান তাঁরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এদিন আদালত আরও বলে যারা ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে পড়াচ্ছেন যোগ্য হিসেবে, তাঁদের সবাইকে পরীক্ষার অনুমোদন দিতে হবে(SSC News)। রাজ্য সরকার চাইলে পরীক্ষার দিনক্ষণ পিছিয়ে দিতে পারে।”
এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের খানিকটা স্বস্তি মেলে । ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে ক্লাস করাতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে আগামী মাসে নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে সমস্যায় পড়ছেন। তাই সেপ্টেম্বরের ৭ ও ১৪ তারিখের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যদি পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে চায়, শীর্ষ আদালত তা বিবেচনা করবে। এমনকী চাকরিরত শিক্ষকদের ফর্ম ফিল আপ করার জন্য সাতদিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বিচারপতিদের এই মন্তব্যে স্বভাবতই খানিকটা স্বস্তিতে চাকরিপ্রার্থীরা।
এছাড়াও ২০১৬ সালের মতো এবারেও গ্র্যাজুয়েশনে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া চাকুরিরত শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। এই আবেদনের সম্মতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ। সেই নিয়োগ মামলার শুনানিতে এদিন অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে ঢোকানোর চেষ্টার প্রেক্ষিতে ফের সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।
চাকুরিরত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফর্ম ফিল আপ করার জন্য সাত দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়ার কথাও বলেছে শীর্ষ আদালত। রাজ্য ও এসএসসি চাইলে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে বলে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে নোটিস ইস্যু করে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে যাঁরা আবেদন করতে পারছিলেন না, তাদের বিষয়টাও খতিয়ে দেখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন মামলায় এক আইনজীবী সওয়াল করেন, রাজ্য এখনও অযোগ্যদের নিয়োগ করার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ভর্ৎসনা করে বলেন, “আপনারা এখনও নিজেদের পছন্দের অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে ঢোকাতে চাইছেন? এটা লজ্জাজনক। ট্রুলি শকিং। আমরা আগেই বলেছি, কোনওভাবেই কোনও অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।”