ডিজিটাল ডেস্ক ১৫ই অগাস্টঃ চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ সুবল সোরেন (৩৫) প্রয়াত। শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। জানা গিয়েছে,১১ অগস্ট তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা এই শিক্ষককে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। সুবল সোরেনের মৃত্যুর পরেই ফের সরব হয়েছেন তাঁর ‘সহযোদ্ধা’-রা(SSC Teacher Death)।
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে এসএসসির ২০১৬ সালের নিয়োগের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে রাতারাতি চাকরিহারা হয়েছিলেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। ‘টেন্টেড’ বা ‘দাগি’ তালিকায় নাম না-থাকা শিক্ষকরা নিজেদের ‘যোগ্য’ বলে দাবি করে আন্দোলনে নামেন। আর এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন সুবল। ডেবরা ব্লকের বৌলাসিনি হাইস্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন তিনি। চাকরি করছিলেন সাত বছর ধরে।
এ দিন চাকরিহারা শিক্ষকদের তরফে কৃষ্ণগোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘এই মৃত্যুর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর থেকেই আমাদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে থেকেছিলেন সুবল সোরেন। কিন্তু পরের দিকে আর তিনি মানসিক চাপ নিতে পারছিলেন না। আর তার পরিণতিই এই ব্রেন স্ট্রোক।’
এই শিক্ষকের মৃত্যু প্রসঙ্গে দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন,‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ভালো শিক্ষক হিসেবে তিনি এলাকায় পরিচিত। সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই। আমরা পরিবারের পাশে থাকব। তবে একটাই কথা বলব, এই ধরনের নিষ্ঠুর রায় দেওয়ার আগে আদালতের একাধিকবার ভাবা উচিত ছিল।’
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকছেন ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত না হওয়া শিক্ষকরা। এর মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিয়োগপ্রক্রিয়া ধাপে ধাপে এগোচ্ছে। ‘দাগি’ তালিকায় নাম না থাকা শিক্ষকদেরও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে কোনও বাধা নেই।