SSC Update : রিভিউ পিটিশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা

8

ডিজিটাল ডেস্ক, ৩০ মে : নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকার নতুনভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শুক্রবার, ৩০ মে শূন্যপদ পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে একবার পরীক্ষায় সফল হয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা নতুন করে পরীক্ষায় বসতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের সম্মানের সঙ্গে পুনর্বহাল করা হোক। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রশ্ন উঠেছে, তাঁরা পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণ করবেন কি না। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিহারারা স্পষ্ট করেন, তাঁরা এখনই ফর্ম পূরণ করবেন না। প্রথমে রাজ্য সরকারের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি হোক, তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন (SSC Update)।

বৃহস্পতিবার রাতে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর শুক্রবার সকাল থেকেই প্রতিবাদ মিছিলের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে জমায়েত হয়ে নবান্নমুখী মিছিল করা। তবে পুলিশ শিয়ালদহেই তাঁদের আটকায়, এবং বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড়ও চালায়। পুরো দিনজুড়ে তাঁদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি, শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে।

বিকেলে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্য মেহবুব মণ্ডল ও তাঁর সহযোগীরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘‘একটি পরীক্ষার জন্য আমরা কেন দু’বার পরীক্ষা দেব? নতুন পরীক্ষার সময়সীমা খুব কম। যারা নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের জন্য হয়তো সুবিধাজনক হবে, কিন্তু আমাদের মানসিক অবস্থা এখন ভালো নয়। অনেকের পরিবার সংকটে রয়েছে, তাই নতুন করে পরীক্ষা দেওয়া আমাদের জন্য সহজ নয়।’’

নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত নম্বরের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ে চাকরিহারাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্য মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার মনে করছে, এতে আমাদের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, সকলের জন্য। যাদেরই শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। বিশেষত নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ানোর ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগের কথা বলা হয়েছে, যা আরও দ্বিচারিতা তৈরি করছে। এখানে নির্দিষ্টভাবে আমাদের বিষয়টি নয়, বরং সাধারণভাবে সব শিক্ষকের কথা বলা হচ্ছে। এতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।’’

Comments are closed.