SSC Update : ৩০ মে-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা
ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুন : শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা যখন সর্বসমক্ষে উন্মুক্ত ঠিক তখনই কলকাতা হাই কোর্টের কাঠগড়ায় রাজ্যের চার শিক্ষা অধিকর্তা। ২০২৫ সালে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিধি না মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, এই অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি আগামী ৫ জুন। স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব, কমিশনার, এসএসসি চেয়ারম্যান এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের অবমাননা করেছে (SSC Update)।
মামলাকারীর তরফ থেকে যে নোটিস হাই কোর্টে দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অবমাননা করা হয়েছে। নির্দেশানুসারে টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। রাজ্য সরকার কী ভাবে ২০১৬ সালের দুর্নীতি মামলায় ২০২৫ সালের নতুন বিধি বলবৎ করে নিয়োগ করাতে চাইছে, প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। নম্বর বিভাজন নিয়েও আপত্তি জানান তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, নতুন বিধি অনুযায়ী অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর দেওয়া হবে। ফলে ওয়েটিং লিস্টে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের শিক্ষাকতা করার সুযোগ না থাকায়, তাঁরা ১০ নম্বর পাবেন না। ফলে কারও সিলেকশন প্রসেস ১০০ নম্বরে হবে, কারও ৯০ নম্বরে। দ্বিতীয়ত, আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ৩৫ নম্বর দেওয়া হতো। এ বার তা ১০ করা হয়েছে। ফলে নম্বরের হেরফের হবে বলে জানান মামলাকারীরা। এ ছাড়া আগে ইন্টারভিউয়ের জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকলেও এ বার সেই নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লেকচার ডেমনস্ট্রেশনে আরও ১০ নম্বর। মামলাকারীদের অভিযোগ, আগে ১০ নম্বরে ম্যানুপুলেশন হয়েছে। এ বার যে ২০ নম্বরে ম্যানুপুলেশন হবে না, তার গ্যারান্টি কে দেবে? তাই ২০১৬ সালের নিয়োগ বিধি মেনেই নিয়োগ দিতে হবে এবং নম্বর বিভাজন রাখতে হবে বলে দাবি তাঁদের।
মামলাকারীদের সমর্থন করছেন চাকরিহারাদের একটা অংশ। তাঁদের দাবি, ২০১৬ সালের প্যানেল পুরোপুরি বাতিলের বিরোধিতায় তাঁরা প্রথম থেকেই সরব। তাঁরা রিপ্যানেলের দাবি তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা না করে, একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি চলে যাওয়া কোনও প্রক্রিয়া হতে পারে না। চাকরিহারাদের আরও দাবি, অযোগ্যদের টার্মিনেট করলে, সেই জায়গায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা চাকরি পেতে পারেন। তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা দরকার।