ডিজিটাল ডেস্ক ২৫জুনঃ ৪১ বছর পরে ফের ইতিহাস । রাকেশ শর্মার পর প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দিলেন শুভাংশু শুক্লা । বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টার কিছু পর সফল উৎক্ষেপণ হয় তাঁর মহাকাশযানের। এই মহাকাশ সফর নিয়ে শুভাংশু যে প্রথম থেকেই চরম উৎসাহী ছিলেন তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু এই অভিযান তাঁর নিজের কাছে কী, সেটা জানিয়েছেন শুভাংশু। এর আগে ৭ বার পিছিয়ে গিয়েছিল শুভাংশুদের মহাকাশ যাত্রা ।আজ বেলা ১২টা ১ মিনিটে মহাকাশে পাড়ি দিতে পারেন শুভাংশুরা। অপেক্ষার কয়েক ঘণ্টা,৪১ বছর পর ইতিহাস গড়বেন শুভাংশু! আশায় বুক বেঁধেছে গোটা দেশ। ভারতীয় বায়ু সেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhanshu shukla In Space)।
মহাকাশ যাত্রাপথে বার্তা পাঠিয়েছেন শুভাংশু। এক অডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘নমস্কার! আমার প্রিয় দেশবাসী! কী সুন্দর যাত্রা। অনেক বছর পরে আমরা মহাকাশে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে তিরঙ্গা পতাকা রয়েছে। আমি আপনাদের সকলের সঙ্গে আছি। আপনারা সকলে নিশ্চয়ই গর্বিত। আপনারাও এই যাত্রার একটি অঙ্গ। ভারতের মহাকাশ গবেষণার একটা নতুন অধ্যায় শুরু হল। জয় হিন্দ! জয় ভারত!’
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা শুভাংশু শুক্লা। তাঁর এই ঐতিহাসিক যাত্রা ঘিরে শহরে উৎসবের আবহ। স্কুল,কলেজ,বায়ুসেনার প্রাক্তন সহকর্মীরা প্রত্যেকেই গর্বিত। কারণ একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, এই অভিযান ভারতের মানব মহাকাশ অভিযানে নতুন যুগের সূচনা করল। আর এই মিশন নিয়ে শুভাংশু বলেছেন, ”আমি শুধু যন্ত্রপাতি নয়, সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি একশো কোটির স্বপ্ন। এই যাত্রা আমার কাছে শুধু পেশাগত নয়, এক বিশাল দায়িত্ব।” তিনি এও বলেন, ”আমার গল্প যদি অন্তত একজনের জীবন বদলে দেয়, সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য।”
রিপোর্ট অনুসারে, মহাকাশচারীরা প্রায়শই রকেটে উৎক্ষেপণের আগে গান শোনেন যাতে মন শান্ত হয় এবং মনোযোগ বাড়ে। গান মানসিক চাপ কমাতে এক শক্তিশালী হাতিয়ার,বিশেষ করে মহাকাশ ভ্রমণের উচ্চ-চাপের পরিবেশে। শুভাংশু ছাড়াও এই প্রজেক্টের ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশন কমান্ডার ড: পেগি হুইটসন, পোল্যান্ডের স্লাওস উজানানস্কি-উইজননিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবোর কাপু, উভয়েই মিশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লা এই মিশনের জন্য মনোনীত পাইলট। ভারতের গগনযান কর্মসূচির অধীনে প্রশিক্ষিত চারজন মহাকাশচারীর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শুভাংশু। প্রসঙ্গত, ভারতীয় মহাকাশচারী সেই একই লঞ্চ প্যাড থেকে মহাকাশে উড়বেন যা ১৯৬৯ সালে চাঁদে অবতরণকারী প্রথম ব্যক্তি নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং তার উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করেছিলেন।