ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ জুন : লোকসভায় বজবজে বিক্ষোভের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Letter To Om Birla)। চিঠিতে তিনি স্থানীয় পুলিশ সুপারের ভূমিকার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্ত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রিভিলেজ কমিটির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তাঁর এই আবেদন সংসদীয় মর্যাদার প্রশ্নেও গুরুত্ব পেয়েছে।
১৯ জুন ডায়মন্ড হারবারে রাজনৈতিক হিংসায় জখম এক দলীয় কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় তাঁর কনভয়ে চড়াও হয় একটি দল, চলে পাথর ছোড়া ও গাড়ি ভাঙচুর। চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, এই হামলায় তিনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হন এবং তাঁর জীবন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় ছিল, হামলার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী উপস্থিত থাকলেও কোনও পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়া সত্ত্বেও মহকুমা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিও চোখে পড়েনি। বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী (CISF) হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত দাবি তুলেছেন, শুধুমাত্র তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কাই নয়, একজন সাংসদের মর্যাদাতেও আঘাত এসেছে। ফলে লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, বিষয়টি অবিলম্বে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
বজবজের হালদারপাড়ায় কয়েকদিন আগে এক বিজেপি কর্মীর আহত হওয়ার খবর সামনে আসার পর, তাঁকে দেখতে বৃহস্পতিবার সেখানে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁদের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা এখনও মেলেনি। এই দাবি ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায়—মহিলারা ‘চোর’ স্লোগান দেন এবং সুকান্তকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বজবজ থানার পুলিশ দ্রুত উপস্থিত হয়। তবে উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ নামানো হয় র্যাফ বাহিনী।