ডিজিটাল ডেস্ক ৪ঠা অগাস্টঃ সোমবার ফের শুনানি হল না ডিএ মামলার। মঙ্গলবার শুনানি। তবে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশ কীভাবে কার্যকর করা হবে,তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দু’মাস সময় চান(Supreme Court On DA Case)।
ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে রাজ্যকে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ছ’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য টাকা দিতে পারেনি। বরং আরও সময় চাইল রাজ্য। এদিনের শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকারের আইনজীবীরারা সওয়াল করার জন্য কিছুটা সময় চান। তাঁরা স্পষ্ট করে আদালতে জানান, যে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তা কার্যকর করতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁরা দু’মাস সময় চান। আইনজীবীরা জানান, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটি খতিয়ে দেখছে, কত পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে। সেই বিষয়টি কার্যকর করতে ২ মাস সময় লাগবে বলে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। তখনই আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি স্পষ্টভাবে জানান, কলকাতা হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনাল কত পরিমাণ অর্থ দিতে হবে, তা ‘কোয়ান্টিফাই’ করে দেয়নি।
অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “বিপুল পরিমাণ টাকা, রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। কিন্তু বকেয়া ডিএ-র অর্থের পরিমাণ কত হবে, তা হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনাল স্পষ্ট করেনি।” তিনি সওয়াল করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কত পরিমাণ অর্থ দিতে হবে, সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে কমিটি। সেই অর্থের পরিমাণ সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য অভিষেক মনু সিংভি আবেদন জানান।
প্রাথমিকভাবে রাজ্যের আবেদন অর্থাৎ অতিরিক্ত সময়ের আবেদনে সায় দিতে গররাজি ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রার বেঞ্চ।পর্যবেক্ষণে বিচারপতি করোল বলেন, “এই মামলার রায়ের প্রভাব সারা দেশব্যাপী পড়বে।” পরে বিচারপতিরা জানান, আগামীকাল এই মামলার শুনানি ফের হবে।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আদালতের কাজ আইন বাতলে দেওয়া। আদালত তো আর কোয়ান্টিফাই করতে পারবে না। কোয়ান্টিফাই কে করবেন না করবেন, সেটা তো আদালতের বিষয় নয়। আসলে ওরা মামলার শুনানি করতে চাইছিলেন না। যদি আমরা জিতি, ১০০ শতাংশই দিতে হবে।”