Suvendu Adhikari Criticized Mamata Banerjee : ওবিসি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ জুন : ওবিসি তালিকা পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সদ্য ঘোষিত তালিকা নিয়ে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari Criticized Mamata Banerjee)। তাঁর দাবি, এই পরিবর্তন মূলত একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করার জন্য করা হয়েছে, যার ফলে হিন্দু ওবিসি গোষ্ঠীর বড় অংশ কার্যত বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় চলছে।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জাতীয় ওবিসি কমিশনের সুপারিশের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি মনে করান, ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৯৯টি উপজাতি ওবিসি স্বীকৃতি পেয়েছিল, যার মধ্যে ৩৬টি উপজাতি মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য সরকার তিন মাস ধরে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে, যার রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন ওবিসি তালিকায় ১৮০টি উপজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, এর মধ্যে ১১৯টি উপজাতি মুসলিম গোষ্ঠীভুক্ত, যা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার অভিযোগের আঙুল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে।

অর্থাৎ, আগে যেখানে মুসলিম উপজাতির সংখ্যা ছিল ৩৬, এখন তা বেড়ে ১১৯-এ পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধি নানা মহলে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ওবিসি ক্যাটেগরির আওতায় থাকা ৮১টি প্রধান উপজাতির মধ্যে ৭৩টি মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত, যা বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওবিসি ‘এ’ ক্যাটেগরির মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সংরক্ষণের হার ৯০.১২ শতাংশ বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, ‘বি’ শ্রেণিতে সংরক্ষণের হার ৪৬ শতাংশ, যা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। এই সংরক্ষণ নীতির পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্ক আরও তীব্র হচ্ছে।

বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনী স্বার্থে নিয়েছেন। একাধিক নেতা ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, হিন্দু সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে একটি নির্দিষ্ট ভোটব্যাঙ্ককে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রবণতা পশ্চিমবঙ্গের সমাজগত ভারসাম্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।

ওবিসি তালিকা পুনর্গঠন নিয়ে রাজ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। শাসক শিবিরের দাবি, এই সিদ্ধান্ত সংবিধানের গাইডলাইনের মধ্যে থেকেই নেওয়া হয়েছে। তবে বিরোধীদের মতে, এটি রাজনৈতিক স্বার্থে করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে সমাজের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। এই বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।