ডিজিটাল ডেস্ক, ১৯ এপ্রিল: মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে শনিবার মিছিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত এই মিছিল শুরু হয় এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ির সামনে থেকে। প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে চলে এই প্রতিবাদ মিছিল।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব সহ সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও তাপস রায় প্রমুখ। একই দিনে মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি পৃথক মিছিল হয় দমদমেও। সেখানে শামিল হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ভবানীপুরে মিছিল করার জন্য আগেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট থেকে অনুমতি মেলার পরেই শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল শেষে বক্তৃতায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উল্লেখ করেন হাই কোর্টের সেই নির্দেশের প্রসঙ্গ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল বিরোধী অন্যান্য দলের নেতারা মুর্শিদাবাদে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় না, অথচ শুধুমাত্র বিজেপি নেতাদের ক্ষেত্রেই প্রশাসনের আপত্তি থাকে। পুলিশ-প্রশাসনের এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
শুধু ভবানীপুরেই নয়, মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দমদমেও অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল। শুক্রবারই নিউ টাউনের বাড়িতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু ব্যক্তিগত মুহূর্তের পরদিনই ফের সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে দেখা গেল তাঁকে। শনিবার বিকেলে দমদমে বিজেপির আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান দিলীপ ঘোষ, ফের জানান দেন নিজের রাজনৈতিক সক্রিয়তা।
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহের শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু অঞ্চলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ধীরে ধীরে শান্ত হতে শুরু করেছে অশান্তি কবলিত এলাকাগুলি। অশান্তির সময়ে ঘরছাড়া অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মালদা জেলায়। তাঁদের বাস্তব পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদলও মালদায় গিয়েছেন।
Comments are closed.