Sweta Khan Arrested : মা-ছেলের খেল খতম! আরিয়ানের পর পুলিশের জালে শ্বেতা খান!

32

ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ জুন : গ্রেফতার শ্বেতা খান, আলিপুরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল হাওড়া সিটি পুলিশ (Sweta Khan Arrested)। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ডোমজুড়ের ‘পর্ন সম্রাজ্ঞী’ ফুলটুসি ওরফে শ্বেতা খান। এর আগে বুধবার সকালে গলফগ্রিন এলাকা থেকে তার ছেলে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মায়ের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের পর শ্বেতা খানকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত আজ পর্নকাণ্ড ও হাওড়ার সোদপুরের তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মা-ছেলের মধ্যে ছেলে আরিয়ান খানের খোঁজ অবশেষে পায় পুলিশ। পাঁচ দিন ধরে তল্লাশির পর কলকাতার গল্ফ গ্রীন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় (Aryan Khan Arrested)। হাওড়া পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিয়ানকে ডোমজুড় থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অপরদিকে, তাঁর মা শ্বেতা খানকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে শ্বেতার মাকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, শ্বেতার বছর তিনের কন্যাসন্তানকেও কলকাতার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্বেতার খোঁজে এখনো তদন্ত চলছে।

শ্বেতাদের বাঁকড়ার ফকিরপাড়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে আদালতের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটেই উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানা গেছে, তাঁকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে মাস ছয়েক আগে ডেকেছিলেন আরিয়ানই। সমাজমাধ্যমে আলাপ হয়েছিল তাঁদের।

তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাকরি দেবেন বলে তাঁদের মেয়েকে জোর করে পানশালায় কাজ করিয়েছিলেন আরিয়ান এবং তাঁর মা শ্বেতা। পরে পর্ন ভিডিয়োয় অভিনয় করানোর চাপ দেওয়া হত। রাজি না-হওয়ায় তরুণীকে অকথ্য অত্যাচার করেছেন মা-ছেলে। বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে আটকে রেখে দিনের পর দিন তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।

গত শুক্রবার কোনও ভাবে ওই ফ্ল্যাট থেকে লুকিয়ে পালিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন নির্যাতিতা তরুণী। তারপর থেকেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালে আইসিসিইউ-তে রাখা হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।

এর মধ্যে অভিযুক্ত শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খানের নানা বিতর্কিত কার্যকলাপ সামনে এসেছে। বাঁকড়ার বাসিন্দা শ্বেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তাঁর প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, শ্বেতা ও আরিয়ান একটি প্রোডাকশন হাউসের আড়ালে পর্ন ভিডিও তৈরির ব্যবসা চালাতেন। অভিযোগ রয়েছে, কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের নিয়ে গিয়ে দেহব্যবসায় জড়িয়ে দেওয়া হত।