Terrible Experiance:‘না,আমি ঝাঁপ মারিনি’,রমেশের “AI-171″এর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

14

ডিজিটাল ডেস্ক ১৩ জুনঃ‘যদি ভগবানের হাত মাথায় থাকে তো মারে কে’ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় কেবিনক্রু , যাত্রী-সহ ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজন। নাম রমেশ বিশ্বাসকুমার । এই খবর সামনে আসার পরই শোনা যাচ্ছিল, দুর্ঘটনার মুহূর্তে তিনি নাকি ঝাঁপ মেরেছিলেন। তাই প্রাণে বেঁচে যান। তবে শুক্রবার রমেশ বললেন,‘না, আমি ঝাঁপ মারিনি’(Terrible Experiance)।

তাহলে কী ভাবে বাঁচলেন? রমেশ বিশ্বাসকুমার এখন আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর বুকে চোট লেগেছে। তবে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতালের বেডে শুয়েই তিনি জানান, টেক অফের ৩০ সেকেন্ড পরেই বিকট শব্দ হয়। ভেঙে পড়ে বিমান। ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি ছিটকে বেরিয়ে যান। তারপরই আগুন ধরে যায় বিমানে।

আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালের বেডে শুয়ে রমেশ চিকিৎসকদের বলেন,‘বিমান ভেঙে পড়ার সময় প্রচণ্ড ধাক্কায় আমি সিট থেকে ছিটকে বেরিয়ে যাই। আর তাতেই আমি প্রাণে বেঁচে যাই।’তাঁর সিট বেল্ট বাঁধা ছিল। সিটে বসে থাকা অবস্থাতেই ছিটকে বেরিয়ে যান তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তারই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল ভাইরাল হয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে ।

সূত্রের খবর,বছর আটত্রিশের রমেশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 বিমানের ১১এ আসনে বসেছিলেন। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হেঁটে অ্যাম্বুলেন্সে উঠছেন রমেশ। তাঁর সাদা টি-শার্টে রক্তের দাগ। কিছুটা খোঁড়াচ্ছেন তিনি।

রমেশ বলেন,‘টেক অফের ৩০ সেকেন্ড পরই বিকট শব্দ হয়। তারপরই বিমান আছড়ে পড়ে। আমার সিট ছিটকে বেড়িয়ে যায়। তারপরই দেখি চারদিকে মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমি ভয়ে ছুটতে শুরু করি।’ জানা গিয়েছে, রমেশের ভাইও ওই বিমানেই ছিলেন। তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই অনুমান।

দুর্ঘটনার পর তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানের বিভিন্ন অংশ ল্যান্ডিং গিয়ার, ফিউজলাজ ও টেইল বিজে মেডিকেল কলেজের ভিতরে গেঁথে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স’অর্থাৎ ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার খোঁজ ইতিমধ্যেই মিলেছে । যাতে শেষ মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ জানা যায়।