ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ অগাস্ট : এবার ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ঘিরে চাঞ্চল্য (Terror Attack Puri Jagannath Temple)। মন্দিরের কাছাকাছি একটি দেওয়ালে পাওয়া গেছে ভয়াবহ হুমকির বার্তা, যা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন, বিশেষ করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। হুমকির সূত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
ওড়িশার একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অদূরে একটি দেওয়ালে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে হুমকির বার্তা। ওড়িয়া ও ইংরেজি—দু’টি ভাষাতেই লেখা হয়েছে, জঙ্গি হামলার মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে জগন্নাথদেবের এই ঐতিহাসিক মন্দির। দেওয়ালে দেওয়া হয়েছে একাধিক ফোন নম্বরও, যেখানে ফোন করতে স্থানীয়দের উৎসাহিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। শুধু হুমকি নয়, মন্দির চত্বর সংলগ্ন সুসজ্জিত এলাকায় একাধিক লাইট ও লাইট পোস্ট ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, আশেপাশের বেশ কিছু দেওয়ালেও ক্ষতির চিহ্ন মিলেছে বলে জানা গেছে। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রমেই, তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও প্রশাসন।
উচ্চ নিরাপত্তা সংবলিত পুরীর জগন্নাথ মন্দির এলাকায় এমন ভয়ঙ্কর দেওয়াল লিখন কিভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মন্দির চত্বরসহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ঘিরে রাখা এবং নিয়মিত টহলদারি করার কথা থাকা সত্ত্বেও কে বা কারা এই হুমকির বার্তা দেয় তা পরিষ্কার নয়। এছাড়া, ভাঙাচোরা লাইট ও লাইটপোস্টের ঘটনা নিয়েও সন্দেহের ছায়া। এই পুরো ঘটনার মধ্যে ওড়িশা পুলিশের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠেছে।
শুধু সাম্প্রতিক এই ঘটনায় নয়, গত কয়েক মাসে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা সেবায়েতদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কিছুদিন আগে মন্দিরের পতাকা ঈগলের হাতে তুলে দিয়ে উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এরপর রথযাত্রায় কন্ট্রোলহীন অবস্থা, একাধিকবার পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়া এবং সময়মতো রথ পৌঁছাতে না পারার মতো সমস্যা—এসব নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মন্দিরের কর্মীরা। তাদের দাবি, জগন্নাথ মন্দিরের মতো উচ্চ নিরাপত্তার এলাকায় এতো ঢিলেমি কেন? অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা ওই হুমকিপূর্ণ বার্তা দেয়, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।