ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ মে : পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। পাল্টা প্রত্যাঘাত করে পাকিস্তান, তবে বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়। তবুও, জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অঞ্চলে পাক গোলার আঘাতে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে তৃণমূল কংগ্রেস উদ্যোগী হয়েছে। বুধবার দলটির একটি প্রতিনিধি দল শ্রীনগর, পুঞ্চ ও রাজৌরি সফর করবে। তাদের লক্ষ্য, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা (TMC Delegation Team For Kashmir)।
মঙ্গলবার শাসকদলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমূল হক, সাগরিকা ঘোষ এবং রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। আগামী দু’দিন, অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত, তাঁরা সেখানে থাকবেন। এই সফরে তাঁরা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং স্বজনহারা পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, সবার আগে দেশ, এবং দেশের স্বার্থে একজোট হয়ে কাজ করাই শ্রেয়।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে লস্করের সহযোগী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি ২৬ নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা করে, যেখানে তাদের সহায়তা করেছিল কাশ্মীরের এক স্থানীয় জঙ্গি। এই নৃশংস হামলার প্রতিশোধ নিতে ৭ মে ভোররাতে ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা পাকিস্তান ভারতের সীমান্তবর্তী জনবহুল এলাকা ও সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তবে ভারত তা সফলভাবে প্রতিহত করে এবং পাকিস্তানের অন্তত ১১টি বায়ু সেনাঘাঁটি ধ্বংস করে। ভারতীয় সেনার অভিযানে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের অনুরোধে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় নয়াদিল্লি।