TMC Expels Leader : খড়গপুরে বাম নেতাকে ‘পেটানো’ বেবিকে বহিষ্কার করল তৃণমূল

14

ডিজিটাল ডেস্ক, ৭ জুলাই : খড়্গপুরে প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর, সোমবার মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যুৎস্মৃতি ভবনে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে এসে বিষয়টি জানান তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার (TMC Expels Leader)।

তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশেই বেবি কোলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, “বাম নেতা মারধরের অভিযোগে বেবিকে জেলা থেকে শোকজ করা হয়েছিল। শোকজের জবাব খতিয়ে দেখার পর, দল তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।”

গত সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে সিপিএম নেতা অনিল দাসকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে জুতো দিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের নাম জড়ায় এবং মুহূর্তে সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।ঘটনার পরই রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও বিধায়ক সুজয় হাজরা বেবি কোলেকে শোকজ করেন এবং তিন দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন।

পাঁচদিন পর বেবি সেই চিঠির জবাব দেন। তবে শোনা যাচ্ছে, সেই চিঠি এখনও জেলা সভাপতির কাছে পৌঁছয়নি। তার বদলে রবিবার থেকেই তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠেছে—নেতৃত্বের কাছে না পৌঁছে, চিঠি কীভাবে অনলাইনে ঘুরতে পারে? যদিও বেবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

২১ জুলাই উপলক্ষে প্রস্তুতির জন্য এদিন মেদিনীপুর শহরে পৌঁছেছিলেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সী এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। সূত্রের খবর, সেখানে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এর পরেই ঘোষণা করা হয় যে বেবি কোলেকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা শুরু হয়।

একটি পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে তৈরি হল উত্তেজনা। অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে এক ব্যক্তির বাড়ির দেওয়াল জোর করে ভেঙে দেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন অনিল দাস। এরপরই, গত সপ্তাহে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, তাঁকে জুতোপেটারও অভিযোগ উঠে এসেছে। ঘটনার পর তৃণমূলের তরফে বেবি কোলেকে শোকজ করা হয়। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকেও তাঁকে আটক করা হয়েছিল, যদিও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় অসন্তুষ্ট প্রহৃত বাম নেতা এরইমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এরই মাঝে, দলের তরফে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ।