ডিজিটাল ডেস্ক ৩১ শে জুলাইঃ কোন্নগরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে কুপিয়ে খুন। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সন্ধ্যায়। মৃত তৃণমূল নেতার নাম পিন্টু চক্রবর্তী। কানাইপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পদে ছিলেন পিন্টু। নিজের গ্যাস এজেন্সি ছিল তাঁর। এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নাকি ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই খুন হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা এবং কানাঘুষো চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ(TMC News)।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় কানাইপুর অটো স্ট্যান্ডে নিজের গ্যাস এজেন্সির অফিস থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন পিন্টু। বাইকে চেপে তিনি রওনা দিতে না দিতেই হঠাৎই সেখানে দুষ্কৃতীরা চলে আসে। তাঁর উপর ধারালো অস্ত্রের কোপ বসানো হয় একের পর এক। অস্ত্রের আঘাতে একটি হাতের কবজি কেটে ঝুলতে দেখা যায়। পরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতেই স্থানীয় মানুষজন আহত পিন্টুকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পিন্টুকে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে এই হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কানাইপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভবেশ ঘোষ সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করেন মন্ত্রী স্নেহাশিস নিজে। এদিকে এই হামলার খবর পেয়েই কানাইপুর ফাঁড়ি পুলিশ ও উত্তরপাড়া থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাসও ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। চন্দননগরের কমিশনার অমিত পি জাভালগি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তদন্তে নেমে আশেপশের বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের চিহ্নত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন্টু আগে জমি-বাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার পর নাকি গ্যাস এজেন্সি খুলেছিলেন তিনি। এদিকে কানাইপুরের আগের প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পিন্টু। তবে সম্প্রতি আচ্ছেলালের সঙ্গে নাকি দূরত্ব তৈরি হয়েছিল পিন্টুর। এই আবহে পুলিশের বক্তব্য, কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা পরিষ্কার নয়।