Chandrima Bhattacarya on Amit Shah: “হিংসা ছাড়া ভোট হলে তৃণমূলের জামানত বাজেয়াপ্ত”, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের, পাল্টা জবাব চন্দ্রিমার

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ১ জুন: জামাইষষ্ঠীর দিনে ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ময়দানে তীব্র চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ [Amit Shah]। রবিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘বিজয় সংকল্প কার্যকর্তা সম্মেলন’-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি, “হিংসা আর রিগিং ছাড়া যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তৃণমূলের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তো দূর, জেতাও পারবেন না।”

শাহের অভিযোগ, “বাংলায় প্রতি নির্বাচনের পর বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ, খুন ও দমনপীড়ন হয়। তৃণমূলের গুন্ডারা এসব ঘটায়। কিন্তু এবার সময় ফুরিয়ে এসেছে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন করবে। যারা আমাদের কর্মীদের হত্যা করেছে, তাদের মাটির নিচ থেকেও বের করে আনা হবে। দিদি, সাহস থাকলে হিংসামুক্ত নির্বাচন করে দেখান, বাংলার মানুষ আপনাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করবে।”


অমিত শাহের মন্তব্যের পালটা দিতে রোববার বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মুখপাত্র সাগরিকা ঘোষ। চন্দ্রিমা তীব্র প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ভোট পরিচালনার দায়িত্ব তো রাজ্য সরকারের নয়, দিল্লির নির্বাচন কমিশনের। ভোটে হিংসা হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনেরই। তাহলে কি শাহজী স্বীকার করছেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও হিংসা আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন?”

তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন বলেই জামাইষষ্ঠীর মতো দিনে নেতাজি ইন্ডোরের মতো বড় ভেন্যুতে বিজেপির কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অথচ সেই জায়গা থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। বাংলার মানুষ এসব বুঝতে পারেন।”


২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এ দিনের অমিত শাহের সফরকে বিজেপির রাজনৈতিক কামব্যাকের প্রস্তুতি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে পালটা জবাব দিতে প্রস্তুত তৃণমূলও। শুরু হয়েছে তর্কযুদ্ধ— ‘কে কতটা ভোটের ময়দানে লড়াই করতে প্রস্তুত।